খুলনায় চিকিৎসক নির্যাতনকারী পুলিশের এএসআই নাঈমের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। এ দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৪ মার্চ) এফডিএসআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহ খুলনার শেখ পাড়ার হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালীন সময়ে আগের অপারেশন করা রোগীর অভিভাবক পুলিশ এএসআই (সাতক্ষীরা) নঈম তার রোগীর জটিলতার অভিযোগ করে সঙ্গী আরও পুলিশসহ অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে বেধড়ক পেটায়। ডা. আব্দুল্লাহ মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। এ সময় তারা অপারেশন থিয়েটার ও ক্লিনিক ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিক অপারেশন বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার নেতৃত্বে চিকিৎসক যখন আন্দোলনরত, তখন এএসআই নঈমের স্ত্রী আক্রান্ত চিকিৎসক ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিরূদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।
এ অবস্থায় নির্যাতক ও মিথ্যাবাদী এএসআই নঈমের গ্রেফতার বর্তমানে সারাদেশেরক্ষুব্ধ চিকিৎসক সমাজের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার এফডিএসআরের পক্ষ থেকে অবিলম্বে অভিযুক্ত এএসআই নঈমকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে অভিযুক্ত এএসআই নঈমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। কিন্তু এই অন্যায় কোনো চাকুরিবিধির লঙ্ঘন নয় যে তাকে ক্লোজ করে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নিলেই সমাধান হবে। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এর বিচার আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর কাজ আদালতে হতে হবে।
এ বিষয়ে চিকিৎসকদের সংগঠনটি দ্রুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করেছেন। এতে খুলনার চিকিৎসা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং রোগিরা তাদের স্বাভাবিক সেবা গ্রহণ করতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন