মোহাম্মদ ফারুক রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সিনেমা প্যালেস এলাকায় জাহাঙ্গীরের চা দোকানে চা খাওয়ার সুবাদে মনি মল্লিকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর মনি মল্লিক তাকে ১০ হাজার টাকার মাছ কিনে দিয়ে সিনেমা প্যালেস এলাকায় ভ্যান গাড়িতে বিক্রি করতে দেন। ফারুক পিতার কিডনিজনিত রোগের সংবাদ পেয়ে মাছ বিক্রি শেষে বাবলুর গ্যারেজে ভ্যান গাড়ি রেখে তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ চলে যান। দীর্ঘদিন তার পিতার চিকিৎসা ও গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় চট্টগ্রামে আসতে পারেননি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আসেন।
শুক্রবার রাতে মনি মল্লিক ও প্রান্ত সিংহ হাজারী তাকে পাওনা টাকার বিষয়ে সমাধান করবে বলে বাকলিয়া থানাধীন বাস্তুহারা এলাকা থেকে হাজারী গলিতে নিয়ে আসেন। সেখানে আসার পর তারা ফারুককে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বললে তিনি তাদেরকে তার পিতার অসুস্থতার কথা জানান এবং প্রতি সপ্তাহে এক হাজার টাকা করে পরিশোধ করবেন বলে জানান।
কিন্তু তারা তাকে পুরো টাকা একসাথে দিতে বলেন। ফারুক টাকা একসাথে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই দুজন তাকে কোতোয়ালী থানাধীন হাজারী লেইনস্থ শিব মন্দিরের পাশে গলির ভিতর রাস্তার উপর আটক করে ঘটনাস্থলে থাকা একটি বাঁশের সিঁড়ির সাথে শিকল দিয়ে দুই পায়ে বেঁধে তালাবদ্ধ করে রাখেন। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। টাকা না দিলে হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার একদল পুলিশ তাকে আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- মনি মল্লিক, প্রান্ত সিংহ হাজারী ও রাজীব মল্লিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন