ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গ্রিস। রবিবার রাজধানী এথেন্সের রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সরকার বিরোধী জনপ্লাবন। তারপরই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস।
জনতার কাছে নতজানু হয়ে নিজের ফেসবুক পেজে গ্রিসের রাষ্ট্রপ্রধান মিৎসোতাকিস লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই দুর্ঘটনার জন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। বিশেষ করে, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘২০২৩ সালের গ্রিসে একই লাইনে দু’দিক থাকে আসা দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটল আর কেউ দেখল না, এমনটা হতে পারে না।’
রবিবার এথেন্সের রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সরকার বিরোধী হাজার হাজার মানুষ। কালো বেলুন উড়িয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। অনেকেই সরকার বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন। সেগুলিতে লেখা ছিল, ‘খুনি সরকার নিপাত যাক’। জানা গিয়েছে, রেল ইউনিয়নের লোকজন ট্রেন পরিষেবার মান ও নিরাপত্তা নিয়ে রেল কোম্পানির কাছে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু তাতে কান দেয়নি সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এথেন্স থেকে থেসসোলোনিকির দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। এরপরই সেটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি মালবাহী ট্রেনের। সংঘর্ষের পরে অন্তত তিনটি ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যায়। লাইনচ্যুত হয়ে যায় একাধিক বগি। আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বহু যাত্রী। থেসালি অঞ্চলের গভর্নর এই কথা জানান। কী করে দুই ট্রেন মুখোমুখি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৭ জন যাত্রী।
দুর্ঘটনা ঘটার মুহূর্তে লাফ দিয়েছিলেন এক যাত্রী। সেই যাত্রী, ২৮ বছরের স্টের্গিয়স মিনেনিস জানান, “আমরা আচমকাই একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সর্বত্র আগুন, ভয়ংকর আগুন। ডাইনে বাঁয়ে কেবল আগুন।” তিনি জানান, একেবারে শুরুতে তাদের মনে হয়েছিল, বোধহয় ভূমিকম্প হয়েছে। সূত্র: এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন