ইরানের সুইওয়ার্ক রপ্তানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় তেলের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার মরিয়ম সামাক নামে একজন হস্তশিল্প বিশেষজ্ঞ এই আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন,
ইরানি সুইওয়ার্ক বিবেচনায় নেওয়া হলে সুইওয়ার্ক থেকে তেলের চেয়ে বেশি মুদ্রা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বার্তা সংস্থা ইরনা এই খবর দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সারা বছর ধরে বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অংশীদ্বার তৈরি করা সম্ভব।
দেশগুলির চাহিদার উপর নির্ভর করে শিল্পীদের সহায়তা করতে হবে এবং তাদের শিল্পকর্মগুলি এসব প্রদর্শনীতে বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
ইরানি এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ইউরোপীয়রা সিল্ক এমব্রয়ডারি এবং নেট এমব্রয়ডারির মতো সূক্ষ্ম কাজ পছন্দ করে। আর আরব দেশগুলি চকচকে শিল্পকর্ম পছন্দ করে। তাই দেশ ও আঞ্চলিক দেশগুলির চাহিদা অনুযায়ী সুইওয়ার্ক প্রদর্শন করতে হবে।
সুইওয়ার্ক (ফার্সিতে সুজান-দুজি) ইরানের কিছু প্রদেশের মানুষের মধ্যে খুব সাধারণ একটা পেশা। এটি একটি সুই এবং রঙিন সুতা ব্যবহার করে সূক্ষ্ম সেলাইয়ের সাধারণ কাপড়ে ছবি আঁকার শিল্প। এগুলি প্রধানত নারীদের পোশাক অলঙ্কৃত করতে ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, এই ধরনের কাজগুলি ব্রেসলেট, নেকলেস, ব্যাগ এবং স্কার্ফ সাজানোর জন্য প্রয়োগ করা হয়।
ইরানের হস্তশিল্প রপ্তানির মূল্য চলতি ইরানি ক্যালেন্ডার বছর ১৪০১ (২১ মার্চ ২০২২ থেকে ২০ জানুয়ারি ২০২৩) সালের প্রথম দশ মাসে ৪শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র গত ইরানি বছরে (১৪০০) প্রায় ৩২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হস্তশিল্প রপ্তানি করেছে। সূত্র: তেহরান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন