বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সিল্ক রোডে চীন-জার্মানি কার্গো পরিবহন বেড়েছে রেকর্ড সংখ্যায়

ট্রান্স-ইউরেশিয়ান রেলপথটি ১০-১২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত বছর জার্মানি থেকে চীনে রেলপথে রেকর্ড সংখ্যক কার্গো পরিবহন হয়েছে। এর ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে ইউরোপের রেল সংযোগের মাধ্যমে আগামীতে কার্গো পরিবহন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে জার্মানির রাষ্ট্রীয় রেল পরিচালন সংস্থা ডয়েচে বান। চীন ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান রেল রুটটি বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ। রেলপথটি দেখা হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক সিল্ক রোড রুটের আধুনিকতম পুনর্জাগরণ হিসেবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডয়েচে বান (ডিবি) জানায়, চলতি বছর দুই দেশের মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি কার্গোবাহী কনটেইনার স্থানান্তরিত হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি। ২০১৫ সালে দেশ দুটির মধ্যে ৩৫ হাজার কার্গোবাহী কনটেইনার পরিবহন করা হয়। এ বছরের কার্গো স্থানান্তরকে চীন-ইউরোপ রেলপথ ধরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পণ্য পরিবহন বলে উল্লেখ করেছে ডিবি। উল্লেখ্য, জার্মানির রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ডিবি শেনকারে ডয়েচে বানের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী চীনে কর্মরত। এ বিষয়ে ডিবি বোর্ড সদস্য রোনাল্ড পোফালা বলেন, ভিত্তি হিসেবে এটি অনেক ভালো। ফলে ২০২০ সাল নাগাদ কনটেইনার স্থানান্তরের সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি উন্নীত করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ট্রান্স-ইউরেশিয়ান রেলপথটি ১০-১২ হাজার কিলোমিটার (ছয়-সাত হাজার মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত। চীনের বেশ কয়েকটি শহরে যুক্ত হয়ে পথটি শেষ হয়েছে। চীনে পৌঁছানোর আগে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের ওপর দিয়ে রেলপথটি অগ্রসর হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ পোল্যান্ড, বেলারুশ, রাশিয়া, কাজাখস্তান ও মঙ্গোলিয়া। দীর্ঘতম রেলপথটি ধরে পণ্য পরিবহন করতে সাধারণত ১২-১৬ দিন লাগে। অন্যদিকে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে লাগে এর দ্বিগুণ সময়। আর আকাশপথে পণ্য পরিবহনে সময় আরো কম লাগলেও এর খরচ বেড়ে যায় উল্লেখযোগ্য হারে। মালবাহী রেল সেবাটি অনেক গ্রাহকের কাছেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে যেসব গ্রাহক দ্রুত কিন্তু ব্যয় সাশ্রয় সরবরাহ দাবি করেন। ডিবি জানায়, পোশাক, ইলেকট্রনিকস ও গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদকদের মধ্যে রেল সেবাটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে জার্মানি-চীন রেলপথের কার্যক্রম শুরু হয়। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে এ দীর্ঘতম রেলপথটিকে দুই অঞ্চলের সহযোগিতা বৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে। এ পথ পূর্ব ও পশ্চিমের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহরকে সরাসরি যুক্ত করেছে। সব মিলিয়ে ১২টির বেশি চীনা শহর ও নয়টি ইউরোপীয় শহর এ আন্তঃমহাদেশীয় রেলপথটির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন