শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

মৌচাষিদের পরিচয়পত্র দিচ্ছে বিসিক

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মৌচাষীদের পরিচয় পত্র বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল বিসিক চেয়াম্যান মুশতাক হাসান মুহা: ইফতিখার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিসিক ভবনে মৌচাষীদের পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিসিকের পরিচালক (অর্থ) মো: হাবিবুর রহমান, পরিচালক (উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ) জীবন কুমার চৌধুরী, পরিচালক (প্রযুক্তি) মো: রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন । মুশতাক হাসান মুহা: ইফতিখার বলেন, মধু মানব শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। খাঁটিমধুর চাহিদা ব্যাপক। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা মধুতে ভেজালদ্রব্য মিশ্রণ করে থাকে। এর প্রতিকারের জন্য বিসিক মৌচাষীদের পরিচয়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মধু ক্রেতাদের খাঁটি মধু কেনার ব্যাপারে বিসিকের মৌচাষীদের পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রমটি সহায়ক ভ‚মিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে বিসিক মৌচাষের কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশে বর্তমানে দুই প্রজাতির অ্যাপিস মেলিফেরা এবং অ্যাপিস সেরেনা বা দেশজ প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা হয়। মধু উৎপাদন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সফল পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দুই প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা প্রয়োজন। ফসলের মাঠে মৌমাছিরা বিচরণ করে সেখানে বাড়তি পরাগায়নের কারণে ফসলের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। মধু উৎপাদনের সাথে যেহেতু ফসলের উৎপাদনের বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত। তাই এর জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মধু উৎপাদন, বোতলজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। বিসিকের মৌমাছি পালন কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমানে দেশে সনাতন পদ্ধতিতে আহোরিত মধুর চেয়ে গুণগতমান সম্পূর্ণ ও উন্নতমানের মধু উৎপাদন করা সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন