জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : গত পাঁচ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে ২২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ’ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
মামলার মূল আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মোজাহার আলী প্রধান, জেলা বিএনপির আরেক সহসভাপতি আমিনুর রহমান বকুল, মমতাজুর রহমান মমতাজ ম-ল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়পুরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি সেলিম রেজা ডিউক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ কবির শুভ্রসহ ২২ নেতা কর্মীকে। মামলায় বিবরণে বলা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী বে-আইনিভাবে জনতাকে দলবদ্ধের হুকুম দান, মারপিট ও পুলিশের কর্তব্যে বাধাদানের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট সদর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি করেছেন উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক। পুলিশ ওই রাতেই জয়পুরহাট পৌর কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান বুলু ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, পাঁচ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে, পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করতে চাইলে পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় এবং মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ এনে এই মামলা করে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার চেষ্টা করেছে কিন্তু পুলিশ বিনাকারণে মিছিলে বাধা দিয়েছে এবং গুলি করেছে। অথচ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ। সময় আসলেই এর সমুচিত জবাব দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন