বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শীতের পিঠায় ঘুরছে সংসারে সচ্ছলতার চাকা

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : শীত ও নতুন ধান ঘরে ওঠার সাথে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ আশপাশের হাটবাজারে জমে উঠেছে পিঠার ব্যবসা। ভাগ্য বদলে দিয়েছে মওসুমি পিঠা ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার প্রায় ৬০টি স্পটে চলছে পিঠা বেচাকেনার ধুম। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া পিঠার এ ব্যবসা চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময় পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকার পিঠা বেচাকেনা হবে বলে বিক্রেতাদের বর্তমান বিক্রির গড় হিসাবে ধারণা করা হচ্ছে। পৌর এলাকার ক্যান্টনমেন্ট রোড মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আব্দুল জলিল (৪৫)। বছরের অন্য সময় তিনি পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য রিক্সা ভ্যান চালান। কিন্তু শীত মওসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি পিঠা বিক্রি শুরু করেন। প্রতিদিন গড়ে তার পিঠা বিক্রি হয় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। কামারপুকুর ইউনিয়নের পিঠা বিক্রেতা নজরুল (৪৫), বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের ফাতেমা (৫০) জানান, নভেম্বরের শুরু থেকে শীতের আমেজ শুরু হলেও হাট-বাজারগুলোতে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে পিঠা বিক্রি শুরু হয়। নতুন ধান ঘরে ওঠার সাথে সাথে গোটা এলাকায় শুরু হয় পিঠা বিক্রির উৎসব। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, গুড়গুড়ি পিঠা (সিদ্ধ পিঠা), তেল পিঠা, পাটিশাপটা পিঠা ইত্যাদি। তারা জানান, এর মধ্যে ভাপা ও চিতই পিঠা বেশি বিক্রি হয়। এলাকা ভেদে গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা আসে পিঠা বিক্রি থেকে। পিঠা বিক্রিতে কি পরিমাণ লাভ হয় জানতে চাইলে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পিঠা বিক্রেতা আনিসুর (৪৫) বলেন, চাল, নারিকেল, গুড়, তেল, জ্বালানি খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৫/৬শ’ টাকা আয় হয়। গত কয়েকদিনে চৌমুহনী বাজার, শখের বাজার, সাইল্যার মোড়, কামারপুকুরের কামারপুকুর বাজার, মতির মোড়, ধলাগাছ বাজার, নিজামের চৌপথী, কাশিরামের হাজারীহাট বাজার, সিপাইগঞ্জ বাজার, খতামধুপুরের খিয়ারজুম্মা, খালিসা বাজার, হামুরহাট বাজার, বোতলাগাড়ির জিয়ার বাজার, পোড়াহাট বাজার, ঢেলাপীর হাট, সোনাপুকুর, শহরের পোস্ট অফিস মোড়, গোলাহাট, পাঁচমাথা মোড়, বাস টার্মিনাল, পুরাতন বাবুপাড়া, মুন্সিপাড়া, কাজীপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, হাতিখানাসহ বিভিন্ন এলাকার পিঠা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের আয় ব্যয়ের হিসাব। পৌর বাজারের পিঠা বিক্রেতা জিকরুল (৩৮) জানান, প্রতিদিন গড়ে তার পিঠার দোকানে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদে লাভ টিকে ৫/৬শ’ টাকা। ফলে গড়ে মাসে তার আয় হয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। কারখানা গেট বাজারের বিক্রেতা আলম (৫০) জানান, প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পিঠার দোকান লাগালে আয় ভালই হয়। তবে সবসময় দুই বেলা দোকান বসাতে পারেন না তিনি। পুরো শীত মওসুমে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পিঠা বিক্রি থেকে আয় করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন