বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাভারে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী নিহত

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দগ্ধ আরো ৫ জন
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে আরো ৫ জন। তাদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে সাভার পৌর এলাকার তারাপুর মহল্লায় তাজুল ইসলামের একতলা বাড়িতে এঘটনা ঘটে। নিহত রওশন আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী খয়রুন নেসা (৪৫) ওই এলাকার বাসিন্দা।
অগ্নিদগ্ধরা হচ্ছে নিহত রওশন আলীর ছেলে হযরত আলী, মেয়ে ফাতেমা বেগম, মেয়ের স্বামী মোহাম্মদ সেলিম, বাড়ির মালিক নিহতের ভায়রা তাজুল ইসলাম ও তাজুল ইসলামের স্ত্রী মেহেরুন নেসা।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বলেন, ভোর রাতে বাড়ির তিতাস গ্যাস লাইনের পাইপ লাইন বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। আগুন একতলা ভবনের অন্যান্য কক্ষে ছড়িয়ে পড়লে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে সাভার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মুহূতের মধ্যে এসময় ওই বাড়ির সব মালামাল ও মুল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে যায়।
আগুনে পুড়ে রওশন ও তার স্ত্রী খয়রুন মারা যায়। দগ্ধ পরিবারের আরও ৫ সদস্যকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
আইসিইউর সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসমিন খানম বলেন, আগুনে দগ্ধ সকলেই শঙ্কামুক্ত তবে ফাতেমা বেগমকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ঘরের ভিতরে গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। রাতের ঘরের জানালা দরজা সব বন্ধ থাকায় গ্যাস সব রুমে ছড়িয়ে পরে। ভোর রাতে খাবার তৈরির সময় আগুন জ্বালাতেই আগুন সব ঘরে ছড়িয়ে পরে।
তিনি আরো বলেন, ঘরের ভিতরে গ্যাস লিকেজ থাকলে আগুন জালাতে হয়না, গ্যাসের চুলার চাবি ঘুরালেও স্পার্ক করে আগুন ধরে যায়।
পুলিশ পুড়ে যাওয়া লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, অগ্নিকা-ের বিকট শব্দে তাজুল ইসলামের বাড়ির পাশে তোতা মিয়ার বাড়িও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর টিনশেড ঘরের বেড়া ও চাল উড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কাদির নাজিম গতকাল সকালে মুঠফোনে জানায়, স্বজনরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন