শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আম্পায়ার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে খেলা হয়? ড. কামাল হোসেন

| প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে হবে আম্পায়ার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে খেলা হয়? প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০০৮ সালের মতো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গতকাল রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনে কী কী বিধান করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে আমরা বলেছি। সার্চ কমিটি গঠনে আমরা কোনো নাম প্রস্তাব করিনি। তবে ক্যাটাগরি বলেছি।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন ছাড়া বিগত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়নি, সেটা কি সংবিধানের ব্যত্যয় হয়েছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কামাল হোসেন বলেন, যদি তারা অবাধ, নিরপেক্ষভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যত্যয় ঘটেছে। সেটা জনগণ বিচার করুক।
বিকেল তিনটা ৫০ মিনিটে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক করেন।
বৈঠকে গণফোরামের পক্ষ থেকে নয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-নির্বাহী বিভাগের প্রভাব ও হস্তক্ষেপমুক্ত স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন আইনপ্রণয়ন; সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আইনি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ; নির্বাচন কমিশন আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সভাপতি পরিষদের সদস্য তোবারক হোসেন, জগলুল হায়দার, আ ও ম শফিক উল্যা, সগীর আনোয়ার, মোশতাক আহমেদ, বিলকিস বানু, মহিউদ্দিন কাদের, মফিজুল ইসলাম খান, এস এম আলতাফ হোসেন, শান্তিপদ ঘোষ ও নৃপেন ঘোষ।
গণতন্ত্রী পার্টির আট প্রস্তাব
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনসহ আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল গণতন্ত্রী পার্টি। গতকাল রোববার বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলটি এই প্রস্তাব দেয়। গণতন্ত্রী পার্টির ১৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী।  বিকাল পৌনে তিনটার দিকে গণতন্ত্রী পার্টির প্রতিনিধি দলটি বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। পৌনে চারটার দিকে বের হয়ে আসেন এই নেতারা।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টেকে বলেছি, সংবিধানের ১১৮ অনু”েছদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জরুরি ভিত্তিতে বা অধ্যাদেশ জারি করে এই আইন প্রণয়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ১৫ দিন থেকে একমাস সময় লাগবে।
গণতন্ত্রী পার্টির ৮ প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ইসি গঠনে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করতে হবে। বিকল্পে সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) উল্লিখিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও দলটির প্রস্তাবে বলা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Forkan ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:২১ এএম says : 0
জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
Total Reply(0)
Rezwanur Rahman Khan ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:২৮ এএম says : 0
আরে মিয়া_ আদতে খেলাইতো বন্ধ, আপনি আছেন নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়া। খেলাটা মাঠে গড়াইতে দেন, দেখবেন_ দর্শকরাই আম্পায়ার হইয়া যাইবো।
Total Reply(0)
Ashraful Islam ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:২৯ এএম says : 0
এক দম ঠিক
Total Reply(0)
Asad ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩০ এএম says : 0
Right
Total Reply(0)
Amin Khondoker ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০৮ পিএম says : 0
কথাটি যে কোন বিষয়ের জন্য সত্য ।
Total Reply(0)
Md Monjur Alam Hridoy ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০৮ পিএম says : 0
nice talk
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন