কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা । হিমেল কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। টানা দু’দিন থেকে দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। ভোরে ও সন্ধ্যায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলও। রাস্তাঘাটে লোক চলাচল ছিল কম। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পরেছে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে হত-দরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এজন্য জেলায় ৮৫টি মেডিক্যাল টিম প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছে। শৈত্যপ্রবাহ স্থায়ী হলে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া ৫৩ হাজার ১৮৫টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও শিশু পোশাকসহ অন্যান্য ৩০ হাজার পোশাকের চাহিদা দেয়া হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬ হাজার ৫০৫ হেক্টর বোরো বীজতলা করা হয়েছে। বীজতলা পরিচর্যার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক এ এইচ এম মোফাখারুল ইসলাম জানান, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো দুয়েকদিন এই অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন