স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম লীগ নেতা নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৮ সালে অমৃতসরে মুসলিম লীগ সভায় নবাব সলিমুল্লাহ বলেছিলেন, যখন আমি দেখলাম আমার জাতি তথা হযরত মুহাম্মদ (সা:) উম্মতগণ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রয়োজনে নিজে ধ্বংস হব কিন্তু এ জাতিকে রক্ষা করব ইনশাল্লাহ। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কথা রাখার চেষ্টা করে গেছেন। তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন বেনিয়া ইংরেজ আর বাহ্মণ্যবাদীদের শাসন শোষণে রাজা থেকে ফকির বনে যাওয়া অশিক্ষিত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ আর শিক্ষিত করার জন্য। নবাব হওয়ার পরপরই ঢাকার প্রতিটি এলাকায় নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের নির্দেশ ছিল তার শিক্ষানুরাগী হিসাবে আত্মপ্রকাশের প্রথম ধাপ। নিরন্তরভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলার মানসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী তোলেন ব্রিটিশ শাসকদের নিকট। সায়মন কমিশন রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় করার মত পর্যাপ্ত জায়গা নেই এ রকম খোঁড়া যুক্তির জবাবে তিনি শাহবাগের গোটা বাগানবাড়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দান করার যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে সুগম করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ। কিন্তু আফসোসের বিষয় সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ নবাবকে এমনকি জন্মবার্ষিকী-মৃত্যুবার্ষিকীতেও স্মরণ করে না। নতুন প্রজন্মকে নবাব সলিমুল্লাহ সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানানোর লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী অন্তর্ভুক্তি অত্যাবশ্যক। গতকাল ১৬ জানুয়ারী নবাব সলিমুল্লাহর ১০২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের কবর জেয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এডঃ বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশিদ খান চৌধুরী, নবাব পরিবারের সদস্য খাজা ইমরান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, শহীদুল্লাহ খালাসী, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.আই ইসলাম মিলন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন