বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

ভাগ্যবান এক ‘জিয়া’ বনাম দুর্ভাগা জিয়ানগরবাসী

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৩ এএম | আপডেট : ১২:৫৩ এএম, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭

মহিউদ্দিন খান মোহন : দেশের সব জায়গা ও স্থাপনা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার যে কর্মসূচি বর্তমান সরকারের রয়েছে, তার আপাতত সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো পিরোজপুর জিয়ানগর উপজেলার নাম ‘ইন্দুরকানি’ করা। অতি সম্প্রতি এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ইন্দুরকানিকে প্রথমে থানা ও পরে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। সে সময় নতুন এ উপজেলার নামকরণ করা হয় ‘জিয়ানগর’। বলা নিষ্প্রয়োজন, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার শহীদ জিয়াউর রহমানের নামানুসারে নবসৃষ্ট এ উপজেলাটির নাম রেখেছিল। প্রায় এক যুগ পরে সেটির নাম পরিবর্তন করা হলো। এ নাম পরিবর্তনে দেশ, জাতি কিংবা ওই উপজেলাবাসীর কী উপকার হবে কারো তা জানা নেই। আর হঠাৎ করে এ পরিবর্তনের প্রয়োজনইবা কেন দেখা দিল তারও কোনো ব্যাখ্যা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। জিয়ানগর নাম থাকায় প্রশাসনিক কর্মকা-ে কী কোনো বাধা-বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছিল, নাকি অসুবিধা দেখা দিয়েছিল? আমজনতা সাধারণত মনে করে থাকে যে, সরকার বিভিন্ন সময়ে যেসব পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে দেশ, জাতি ও জনগণের কোনো না কোনো কল্যাণের উদ্দেশ্য নিহিত থাকে। তো ‘জিয়ানগরের’ ইন্দুরকানিতে প্রত্যাবর্তনের মধ্যে সরকারের কী ‘জনকল্যাণ চিন্তা’ রয়েছে সেটা জানতে চাওয়ার অধিকার দেশবাসীর অবশ্যই আছে।
তবে এটা ঠিক যে, এ কাজের কোনো ব্যাখ্যা সরকারের তরফ থেকে কখনোই পাওয়া যাবে না। কারণ, জিয়ানগরকে ইন্দুরকানিতে পরিণত করার পেছনে ভালো কোনো উদ্দেশ্য কাজ করেনি। এক্ষেত্রে ‘জিয়া’ নামটি মুছে ফেলাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। এটা যে এক ধরনের সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে উৎসারিত চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটাকে বলা যায় ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ। দেশবাসী লক্ষ করে আসছে যে, বর্তমান সরকার প্রায় প্রতিটি স্থান থেকে জিয়ার নাম অপসারণের দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ফলে বদলে গেছে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম। জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে জিয়ার স্বাধীনতা পদক। দেশের বিভিন্ন স্থানে সেসব স্থাপনা থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে তার তালিকা এতো দীর্ঘ যে, এখানে তা উল্লেখ করা নি®প্রয়োজন। খারাপ কাজের এক-দু’টো দৃষ্টান্তই গোটা কাজের উদাহরণের জন্য যথেষ্ট।
সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে নাম বদলের এ সংস্কৃতির রূপকার আওয়ামী লীগ। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে দেশের কোনো স্থাপনা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সরিয়ে ফেলার নজির নেই। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বলেন, নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কই বলেন, কোথাও কোনো পরিবর্তন করা হয়নি, কিংবা মুছে ফেলা হয়নি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ফলক থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম। ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়া শহীদ হবার পর তার প্রতি সম্মান জানিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম রাখা হয় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, আর ঘোড়াশালস্থ ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির নাম রাখা হয় ‘জিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরী’। সামরিক শাসক এরশাদ এসব নামে কিন্তু হাত দেননি। ১৯৮১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেও কোনো স্থাপনা, অঞ্চল বা সড়ক-সেতুর নাম পরিবর্তন করেনি। ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই নাম বদলের এ কু-সংস্কৃতি চালু করে। তারা বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দিতে থাকে। আর ২০০৯-এ ক্ষমতায় এসে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করে ফেলে। এর আগে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সমাধিক্ষেত্র সংলগ্ন জিয়া উদ্যানকেও তারা চন্দ্রিমা উদ্যান বানায়।
২০০১-এ ক্ষমতায় এসে বিএনপিও যে নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতির অংশীদার হয়েছিল তা অস্বীকার করা যাবে না। যেমন বিজয় সরণী মোড়ে নভোথিয়েটারটির নাম ছিল ঢাকা নভো থিয়েটার। নির্মাণ চলা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকার ওঠার নাম দেয় ‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার’। ২০০১-এ বিএনপি সরকারের আমলে উদ্বোধনের সময় ওঠার নামকরণ করা হয়, ‘মওলানা ভাসানী নভোথিয়েটার’। ২০০৯-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওটা আবার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নাম ধারণ করে। এই পাল্টাপাল্টি নাম পরিবর্তন যে কোনো সুরুচিকর কাজ নয়, সেটা বলাই বাহুল্য। ঢাকা নভোথিয়েটারকে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার বানিয়ে আওয়ামী লীগ যেমন ঠিক করেনি, তেমনি সেটাকে পরিবর্তন করে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নাম বসিয়ে বিএনপিও সুবিবেচনা প্রসূত কাজ করেনি। এতে এ দুই মহান নেতাকেই অমর্যাদা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ, তারা তাদের জীবদ্দশায় রাজনীতি করেছেন দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য। একটি নভোথিয়েটার কিংবা একটি সড়কের নামফলকে তাদের নাম উৎকীর্ণ হবে-এ আশায় তারা জীবনের সিংহভাগ সময় জাতির জন্য ব্যয় করেননি। কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তির প্ররোচনায় সরকারগুলো এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে নভোথিয়েটারের নামকরণ নিয়ে মজাদার এক ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সরকারের শীর্ষস্থানীয় এক সাবেক আমলার কাছ শুনেছিলাম সে ঘটনাটি। আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ সময়ের ঘটনা। সচিব কমিটির বৈঠক চলছে ঢাকা নভোথিয়েটার নিয়ে। সভায় প্রস্তাব পাশ হলো- ‘ওটার নাম হবে বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার।’ এ সময় একজন সচিব, যিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন, হাত তুলে বললেন, এ নামের ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। সবার তো আক্কেল গুরুম! বলে কি! আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে আপত্তি! সাহস তো কম নয়! বৈঠকের সভাপতি কেবিনেট সচিব গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনার আপত্তির কারণ এবং প্রস্তাব বলুন।’ তখন আপত্তি উত্থাপনকারী সচিব মহোদয় বললেন- এটার নাম হবে- ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার।’ হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল বৈঠকে। তোষামোদি বা তেলবাজীর এমন উদাহরণ খুবই সহজলভ্য আমাদের সমাজে। অনেকেই ধারণা করছেন যে, তেমনি কোনো খয়ের খাঁ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্ররোচনাতেই হয়তো ‘জিয়ানগর’কে ‘ইন্দুরকানি’তে রূপান্তরিত করলো সরকার।
রাষ্ট্র ক্ষমতার পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে স্থাপনার নাম বদলের সংস্কৃতি বোধকরি একমাত্র আমাদের দেশেই চালু আছে। অন্য কোনো দেশে এরকম ঘটে বলে শোনা যায় না। আমেরিকায় ক্ষমতায় পালা বদল চলছে চার বা আট বছর পরপর। একবার রিপাবলিকানরা আসে একবার ডেমোক্রেটরা। কই জন এফ কেনেডী বিমান বন্দরের নাম তো অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। নিকট প্রতিবেশী ভারতের দিকে তাকাই। সেখানে ক্ষমতার পালা বদল ঘটেছে অনেক। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ বসু, জওয়াহের লাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধীসহ তাদের জাতীয় নেতাদের নামে যেসব রাস্তাঘাট, ভবন, বিমান বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে, তার একটিরও কী পরিবর্তন করেছে কোনো সরকার? করেনি। করেনি এ জন্য যে, তারা যে যে রাজনীতির সমর্থকই হোন, জাতীয় নেতাদের সম্মান করেন, শ্রদ্ধা করেন। পূর্বসূরীরা যে আদর্শেরই নেতা থাকুন না কেন, তারা তাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। আর সে জন্যই নাম পরিবর্তনের মতো অরুচিকর কাজে তারা প্রবৃত্ত হন না। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশিদের অনুকরণ-অনুসরণ করি বা করতে ভালোবাসি। কিন্তু জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে বিদেশিদের অনুকরণ করি না কেন?
নাম পরিবর্তনের এ কু-সংস্কৃতির আগ্রাসন দেশে যে এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং অধিকার অর্জনে যারা যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে গেছেন, তাদেরকে এ নাম পরিবর্তনের দ্বারা অসম্মান করাকে বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করছে না। কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে নিয়োজিত আছে, অথবা যারা আগামীতে সে দায়িত্ব পাবার আশা করেন, তারা জনগণের সে মনোভাবকে হয় বুঝতে পারছেন না, না হয় বুঝেও অবজ্ঞা করে চলেছেন। জিয়ানগরকে ইন্দুরকানিতে পরিণত করার ঘোষণার পর বিএনপির তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন- ‘এটা সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং জিয়ানগর সরকারের আগ্রাসী প্রতিহিংসার শিকার।’ রিজভী আরো বলেছেন- ‘আগামীতে যদি জনগণের শাসন কখনো কায়েম হয়, তখন যদি বর্তমান বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, যার আগের নাম ছিল পিজি হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম যার আগের নামছিল ঢাকা স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু সেতু যেটির আগের নাম ছিল যমুনা সেতু, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার যার আগের নাম ছিল মওলানা ভাসানী নভোথিয়েটার, এসবের নাম পরিবর্তন করে যে নাম আগে ছিল তা যদি বহাল করা হয় তাহলে তখন আপনাদের বক্তব্য কি হবে?’ এর পরদিন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে ‘মুজিবনগর’ রাখা হবে। আর ঢাকার নাম রাখা হবে ‘জিয়া সিটি’।’ দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের নাম নিয়ে সরকারের এহেন ন্যাক্কারজনক কাজের বিরুদ্ধে রিজভীর বক্তব্য অন্যায় নয়। তিনি নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করে যে কথা বলেছেন তাও অসঙ্গত নয়। বরং সংক্ষুব্ধ হিসেবে তার এ বক্তব্য ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক। কিন্তু দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যকে কেউ-ই মেনে নিতে পারছেন না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে ঢাকার নাম পরিবর্তন করে জিয়া সিটি করা হবে- দুদুর এ বক্তব্যকে সচেতন ব্যক্তিরা ‘বালখিল্য কথা’ বলেই অভিহিত করছেন। এখন আওয়ামী যেসব খারাপ কাজ করছে, সেগুলো যদি বিএনপিও করে তাহলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্যটা থাকলো কোথায়?
বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনায় থাকা জিয়াউর রহমানের নামের ওপর এক ধরনের ঝড় বয়ে যাচ্ছে বলা যায়। তবে এসব ঝড় থেকে একজন জিয়াউর রহমান অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেছেন। বলা যায়, তিনিই বর্তমান বাংলাদেশে একমাত্র ‘ভাগ্যবান জিয়া’। তিনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল জিয়াউর রহমান। সরকারের পক্ষ থেকে যদি বলা হতো বিমান বাহিনী প্রধান থাকতে হলে তাকে এফিডেভিট করে নাম পরিবর্তন করতে হবে, তাহলে বাধ্য হয়েই হয়তো তাকে তা করতে হতো। কিন্তু সরকার সে রকম কোনো আদেশ তাকে দেয়নি। ফলে পিতৃ প্রদত্ত ‘জিয়াউর রহমান’ নাম অক্ষত রেখেই তিনি তার চাকরির মেয়াদ শেষে অবসরে যেতে পেরেছেন। এটাকে আমি সরকারের উদারতাই বলব। আর সে জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দিতেও কার্পণ্য করব না।
তবে, এক্ষেত্রে জিয়ানগরবাসীকে দুর্ভাগাই বলতে হবে। ‘ইন্দুরকানি’র মতো একটি বিদঘুটে নাম ঝেড়ে ফেলে ‘জিয়ানগরে’র মতো একটি চমৎকার শ্রুতিমধুর নামের উপজেলাবাসী হয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সে সুখ বেশিদিন স্থায়ী হলো না। সরকারের ‘জিয়ার নাম হটাও’ কর্মসূচির কবলে পড়ে আবার তাদেরকে ‘ইন্দুরকানি’ উপজেলাবাসীতে পরিণত হতে হলো। এরচেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে!
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

mohon91@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Abdul Ahad ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:৩৯ এএম says : 0
very true speech
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন