চা উৎপাদন ও রফতানিতে একসময় সারা বিশ্বে শীর্ষ পাঁচ দেশের অন্যতম ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেশে চায়ের ভোগ দ্রæত হারে বাড়লেও উৎপাদনের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে পরবর্তীতে। সম্প্রতি এক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। গত দুই বছরে চা উৎপাদনে বড় অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এক বছরের ব্যবধানে দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ কেজি। মোট উৎপাদন ২৭ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে হেক্টরপ্রতি উৎপাদনও। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ এক পঞ্জিকাবর্ষে শত মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যক্তি অনুপাতে চায়ের ভোগ্যতা দ্রæত হারে বাড়ছে। সে অনুপাতে উৎপাদনের গতি কম থাকায় দেশীয় কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়ে। ২০০৭ সাল থেকে এ অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয়। সে সময় থেকে চা উৎপাদনের সঙ্গে ভোগের পার্থক্য কমতে থাকে। ২০১৪ সালে অভ্যন্তরীণ ভোগ ও উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য ছিল ৩ দশমিক ২৯ মিলিয়ন কেজি। কিন্তু পরের বছরই ভোগ ও উৎপাদনের এ পার্থক্য আবার বেড়ে যায়। ওই বছর ৭৭ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন কেজি ভোগের বিপরীতে উৎপাদন হয় ৬৭ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি চা। ফলে ২০১৫ সালে দেশে রেকর্ড ১১ দশমিক ৪ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি হয়। তবে সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ ভোগের চেয়ে বেশি চা উৎপাদন করছে বাংলাদেশ। গত বছর মোট ৮৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে দেশীয় বাগানগুলোয়, যা আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার কেজি বেশি। চা বোর্ডের বার্ষিক চা উৎপাদন প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুন-অক্টোবর সময়ে দেশের ১৬২টি বাগান থেকে গড়ে ১০ মিলিয়ন কেজিরও বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের গড় উৎপাদনই ছিল ১২ দশমিক ৭২ মিলিয়ন কেজি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন