শীতের দিনে
শীতের দিনে হিমেল হাওয়া
ভাপাপুলি পিঠে খাওয়া।
খেজুর গাছে রসের হাড়ি
যাবো মোরা মামাবাড়ি।
নীল আকাশে উড়ছে ঘুড়ি
ছুটি হবে তাড়াতাড়ি।
পায়রা ডাকে বাকুম বাক
শীত এবার দূরে যাক।
সোহেল রানা
ভূতের হাসি
সন্ধ্যে হলেই খিলখিলিয়ে
হাসে রাজা ভূতে
তাল মিলিয়ে হাসে সাথে
রানী ও রাজপুতে।
শব্দে হাসির ভয় পেয়ে যায়
ছেলের সাথে বুড়ো
গ্রামবাসীদের হয় না তো বের
কণ্ঠ থেকে সুরও।
দূর গ্রামের ওঝা এসে
বন্ধে ভূতের হাসি
চেষ্টা করেন নানা রকম
ঝাড়ার পাশাপাশি।
অবশেষে বলেন যখন
সন্ধ্যা হতে বাকি-
গা গরমের জন্য ভূতে
হাসে শীতে নাকি।
আবুল কালাম আজাদী
যা যা শীত যা
শনশনে হাওয়াতে
বুড়া দাদু কাঁপছে
ছোট শিশু গোসলে
হাউ-মাউ কাঁদছে।
কৃষাণের হাত-পা
ফেটে আজ চৌচির
রসহীন চেহারা
হয়ে গেছে বৌ-ঝির।
টপ টপ শিশিরে
বইছে ঠা-া
লোকে পথে খাচ্ছে
গরম পিঠা-আ-া।
সকলের হাত থাকে
পকেটের মধ্যে
চোর বাবু অনাহারে
নেই তার সাধ্যে।
মাঘের শীতে আজ
বাঘ মিয়া থরথর
জলের মাছ গুলোও
করছে ধরফর।
যা যা শীত যা
বাংলা ছাড়িয়ে
দে দে এই বার
সবাকে বাঁচিয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন