স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে জানে। আর এ কারণেই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না বলে প্রেসিডেন্টের উদ্যোগকেও বিতর্কিত করতে চায়। এজন্যে এক এক সময় এক এক নেতা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। গতকাল সোমবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা আয়োজন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
বিএনপি বিতর্কিত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রেসিডেন্টকে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যে দলটি আজ বিনা নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা জানে যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তারা কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেজন্যই তারা এটা চায় না, তারা এটা বিতর্কিত করতে চায়। এমনকি প্রেসিডেন্টকে তারা বিতর্কিত করতে চায়। দুঃখ হয় যখন তাদের শীর্ষ নেতারা এ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন। যার কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া বলেছেন আসুন আমরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করি, যে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে এবং দেশে যে বিভাজন আছে, অনৈক্য আছে সেটা দূর করে একটা ঐক্য সৃষ্টি করতে পারবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সেরকম একটি প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন। তার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তারপরও আমরা ধন্যবাদ দেব প্রেসিডেন্টকে তিনি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি গতকালও পার্লামেন্টে বলেছেন আমি দেখতে চাই গণতন্ত্র সকলকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, হতাশাই শেষ কথা নয়। কখনো হতাশ হবেন না। বুকে বল নিয়ে আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে বিজয় অর্জন করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি লড়াই করছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, মানুষের স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আসুন আমরা সে লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সমিতির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মির্জা আল মাহমুদ, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, শরীফ ইউ আহমেদ, আনিসুর রহমান খানসহ জাতীয়তাবাদী সমর্থিত আইনজীবীরা ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন