শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

শীতে ডাস্ট অ্যালার্জি

| প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডাস্ট মাইট, বাসাবাড়িতে বিশেষ করে শোবার ঘরের বিছানায় বসবাসকারী একটি অতি ক্ষুদ্র জীব। বিছানায় শুয়ে থাকলে বা ঘুমালে দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা সময়,  সে আমাদের সঙ্গী হিসেবে থাকে এবং অনেক সময় বিভিন্নভাবে অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
ডাস্ট মাইট অ্যালার্জির ফলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাঝে মাঝে নাক বা কান বন্ধ হয়ে থাকা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং অনেক সময় হাঁপানি রোগীদের হাঁপানির উদ্রেক হয়। হাঁপানি রোগীদের অনেকের কাছে ডাস্ট মাইট একটি পরিচিত নাম ।
ডাস্ট মাইট অ্যালার্জি না হওয়ার জন্য ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় উপায়গুলো হচ্ছে ,
১. বাসায় যথাসম্ভব কম ফার্নিচার রাখা।
২. বিছানায় সুতির চাদর ও বালিশের কভার ব্যবহার করা। ম্যাট্রেস, তোশক ও বালিশের বাইরে মাইট প্রতিরোধক সিনথেটিক কভারের ব্যবস্থা করা উত্তম। সকালে উঠে ও ঘুমের আগে বিছানা ঝাড়ু দেয়া। প্রয়োজন ছাড়া বাকি সময়ে পুরো বিছানা আলাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা।
৩. কাথা, কম্বল, চাদর, বালিশ ইত্যাদি মাঝে মাঝে কয়েক ঘণ্টা রোদে দিতে পারলে আর্দ্রভাব চলে যায় এবং রোগ জীবাণুও অনেকটা নির্মূল হয়।
৪. শোবার ঘরে বই, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ ও অরনামেন্ট না রাখা। এগুলোর উপর সহজেই ধুলা জমতে পারে।
৫. ডাস্ট মাইট, ঠা-া ও শুকনো জায়গায় টিকতে পারে না। তাই বাসায় প্রচুর বায়ু চলাচল থাকা দরকার।
৬. দেয়াল, কাঠের আসবাব, জানালা, কার্নিশ ও অন্যান্য স্থান থেকে মাঝে মাঝে ধুলা পরিষ্কার করা দরকার। প্রত্যহ ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও ঘর মোছা প্রয়োজন।
৭. ধুলা পরিষ্কারের সময় নাক ঢেকে নেয়া বা মাস্ক পরা উচিত।
৮. সম্ভব হলে বাসায় কার্পেট না রাখা।
৯. বাসায় লোমশ ও পালকযুক্ত প্রাণী না পোষা।
 ষ ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ
  লালমাটিয়া, ঢাকা।
হধংরৎঁফফরহ১৫৪৪@মসধরষ.পড়স
সড়নরষব: ০১৮২৮৬০৪৯৬৩

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন