বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে শহীদ জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালন

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৪ এএম, ২০ জানুয়ারি, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দীপ্ত শপথ নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় সারা দেশে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিশেষ মোনাজাত শেষে দেশের হরণ হওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ গ্রহণ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে তালমিলিয়ে সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে স্থানীয় বিএনপি
জন্মদিন উপলক্ষে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তিনটি পত্রিকায় জিয়াকে নিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন শ্লোগান সংবলিত পোস্টার সাঁটানো হয় সারা দেশে।
জন্মদিনের বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড্যাব’র উদ্যোগে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে দলের বিভিন্ন ইউনিট আলোচনা সভা, র‌্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
শ্রদ্ধা শেষে মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র ফিরে আনাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আজকের এ দিনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে নয়, সবাইকেই আহ্বান জানান দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্ল­াহ আল নোমান। তিনি বলেন, জিয়ার মাজার সরানো প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্ল­াহ আল নোমান বলেন, এটা সরকারের বিভিন্ন চালের একটা অংশ। জনগণের মধ্যে এ বক্তব্যটা দিয়ে দেখছে যে, প্রতিক্রিয়া কী।
শ্রদ্ধা শেষে মাজার থেকে গুলশানের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার সময় খালেদা জিয়ার গাড়ীর কাছে নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক উপস্থিত নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই শেরেবাংলা নগরে সমবেত হতে থাকেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাদের অনেকের হাতে ছিলো ফুলের স্তবক। এ সময় তারা জিয়াকে স্মরণ করে নানা শ্লোগান দেন। সকাল পৌনে বারোটায় খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। তার পরপরই ঢাকা মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষকদল, জাসাস, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, জিয়া পরিষদ, ড্যাব, এ্যাব, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিশেষ মেনাজাত ও শ্রদ্ধা জানানোর সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, জয়নুল আবদিন ফারুক, নাজিম উদ্দিন আলম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আবু সাঈদ খান খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, সেলিম রেজা হাবিব, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামীমুর রহমান শামীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শামা ওবায়েদ, সালাহ উদ্দিন ভুইয়া শিশির, রফিক শিকদার, ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, চিত্রনায়ক হেলাল খান প্রমুখ।
অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আ ন হ আখতার হোসেন, নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, কাজী আবুল বাশার, আনোয়ার হোসাইন, সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এম এ মালেক, মনির খান, হাফেজ আব্দুুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আমিনুল ইসলাম, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আকরামুল হাসান, এজমল হক পাইলট, নাজমুল হাসান, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফয়েজ আহমেদ, মুশফিকুর রহমান লেলিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, মাহফুজুর রহমান, শাহাদত চৌধুরী প্রমুখ।
জিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে -মির্জা ফখরুল
শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নির্বাসিত। বাংলাদেশ এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এ থেকে উত্তরণে আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। আমরা আজকের এ দিনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সৈনিক বা একজন রাজনীতিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বহুমুখী গুণের অধিকারী ক্ষণজন্মা। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। আজকের এ দিনে তাকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ও অথনৈতিক মুক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান ফখরুল ইসলাম।
সর্বদলীয় কনফারেন্স ডাকুন -নোমান
শেরেবাংলা নগর থেকে জিয়ার মাজার সরানো প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এটা সরকারের বিভিন্ন চালের একটা অংশ। জনগণের মধ্যে এ বক্তব্যটা দিয়ে দেখছে যে, প্রতিক্রিয়া কী। আমরা মনে করি, জিয়ার মাজার এখান থেকে সরানো যাবে না। বাংলাদেশের ইতিহাসেও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মাজার স্থানান্তরের নজির নেই। ধর্মীয়ভাবে কিংবা রাজনৈতিকভাবে এ ঘটনা কখনো ঘটে নাই। সরকারের কাছে বলব, এসব বক্তব্য থেকে দূরে থেকে দেশের সংকট মোচনে এগিয়ে যান। সর্বদলীয় একটা কনফারেন্সের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কীভাবে নির্বাচন হবে, সংকট মোচন করা যায়, সেদিকে সচেষ্ট হোন। বিএনপি আপনাদের সহযোগিতা করবে। জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির ভাঙন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নোমান বলেন, আসলে জাতীয় পার্টি কখনো জাত পার্টি হিসেবে গঠিত হয়নি। দলটিতে সব সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অথবা তার স্ত্রী অথবা কিছু ষড়যন্ত্রকারী নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র করে। আবার মিটমাট করে নেয়। এখনো আমার মনে হয়, সেরকম কিছু হবে না। একটা মীমাংসা তাদের মধ্যে হয়ে যাবে। কারণ এখানে ভাগবাঁটোয়ারার ব্যাপার। এখানে হয়তো কেউ ফিফটি পার্সেন্টে রাজি হচ্ছে না, তাকে সিক্সটি পার্সেন্ট দিলে সে খুশি হয়ে গেল।
জাপাকে বিএনপির আন্দোলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আমরাই সকলকে আবেদন জানাচ্ছি। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে নয়, সবাইকেই আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ড্যাবের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড্যাব’র উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়। সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন ড্যাব’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. রফিকুল কবীর, ডা. মো. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. ওবায়দুল কবীর খান, অধ্যাপক ডা. জিয়াউল কবির জিয়া, ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. সাইফ উদ্দিন নিসার আহমেদ, ডা. পনির, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. রানা, ডা. ইকবাল, ডা. মো. সিরাজউদ্দিনসহ প্রায় ৭০ জন চিকিৎসক। প্রায় ১২৫০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয় বলে ড্যাব নেতারা জানান।
পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ
এদিকে অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন ‘অর্পণ সংঘ’ এর উদ্যোগে শহীদ জিয়ার জন্মদিনে সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে অর্পণ সংঘ নামের একটি সংগঠন। বিকেলে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে ল্যাপটপ ও খাবার বিতরণ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিথিকা বিনতে হোসাইন, বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের আলোচনা সভা ও কেক কাটা
দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এডভোকেট জয়নুল আবদিন, এডভোকেট এ জে মোহাম্মাদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলসহ দুই শতাধিক বিএনপি সমির্থত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা করেছে জাতীয়তাবাদী যুব আইনজীবী সমিতি।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯৩৬ সালের এ দিনে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। তিনি এ দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার নেতৃত্বে এই মুহূর্ত দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বকে অনুসরণ করে দলের সকল নেতাকর্মীকে গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এর আগে জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন।
মুরাদনগরে মিলাদ ও তবারক বিতরণ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদ নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দলের স্থানীয় কার্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিলাদ ও দুস্থদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মজিদ, দফতর সম্পাদক হাফেজ মোম্মদ আলী, বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান, মাসুদ রানা, মোস্তফা ও সিরাজ মুন্সিসহ নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহীতে বিভিন্ন কর্মসূচি
রাজশাহী ব্যুরো : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী রাজশাহীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়। সকালে রাজশাহী কলেজ থেকে ছাত্রদল আনন্দ মিছিল করে। সিটি কলেজ ছাত্রদল আয়োজন করে দোয়া মাহফিলের। বিকেলে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে শহীদ জিয়ার উপর আলোকপাত করে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এখানে বক্তব্য রাখেন নগর সম্পাদক অ্যাড.শফিকুল হক মিলন, সাইদুর রহমান, বজলুল হক মন্টু, ওয়ালিউল হক রানা, কাজি হেনা, মাহফুজুর রিটন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
খুলনায় আলোচনা সভা দোয়া মিলাদ
খুলনা ব্যুরো জানায়, স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) এর ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে কোরআন তোলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল গফফার। পরে এই মহান নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ও অ্যাড. গাজী আব্দুল বারী।
সম্মানিত আলোচক ছিলেন বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. ড. জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ও খুবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. রেজাউল করিম।
বগুড়া অফিস জানায়, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ১২ টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, ফজলুল বারী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, যুগ্ম সম্পাদ অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, উপদেষ্টা শোকরানা প্রমুখ।
জিয়াবাড়িতে কেক কাটা
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, জিয়াউর রহমান আমাদের আদর্শ। তিনি সবার হ্নদয়ের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়ার জন্মভূমি গাবতলীর বাগবাড়ি ‘জিয়াবাড়ি’তে বাগবাড়ী গ্রামবাসী’র উদ্যোগে ও নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় কেক কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শেষে দেশ-জাতি ও জিয়া পরিবারের কল্যাণ কামনা করে বাগবাড়ি তালুকদারপাড়া জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন