শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ক্যারিয়ার

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অধিকাংশ মানুষের ক্যারিয়ার গড়ার কারিগর সে নিজেই। সবারই স্বপ্ন থাকে ভালো কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করার। স্বপ্নের চাকরি পেতে সবাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনাও করে। তবে স্বপ্নকে ধরতে পারে না তাদের কিছু ব্যক্তিগত ও ভাবনাগত অভাবের ফলে। অভাবগুলো এতটাই তীব্র হয় যে, পুরোদমে বিকল করে দেয় ভেতরে পুষে রাখা লালিত স্বপ্নের চাকরির আকাক্সক্ষা। অনাকাক্সিক্ষত এসব অভাব জয় করেই আমাদের স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হলে অনেক বিষয়ই বিবেচ্য। ক্যারিয়ার গড়ার ৬টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করা হলো-

১. আপনার কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত হোন
আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তার আগে ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে এটাই আপনার স্বপ্নের কাজ। আপনার স্বপ্নের কাজে সবকিছু আনন্দের সঙ্গে করতে ইচ্ছে হবে আর এর ব্যত্যয় হলে আপনি আনন্দ খুঁজে পাবেন না। আপনি কী ধরনের কাজ পছন্দ করেন? আপনি কি অন্য চাকরিজীবীদের দায়-দায়িত্ব নিতে পছন্দ কিংবা অপছন্দ করেন? আপনি কি প্রযুক্তি বা মানুষের সঙ্গে কাছ করতে পছন্দ করেন? আপনি নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান? আপনি কি একজন অভিনেতা, ডিজাইনার বা দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হতে চান? নাকি ম্যানেজার হতে চান? আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার আগে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিন।

২. নিজেকে প্রস্তুত করুন
এক মুহূর্তও অপচয় নয়। আপনার জীবন বৃত্তান্ত এখন থেকে প্রতিনিয়ত আপডেট করুন। কালকেই হয়তোবা আপনার হাতের কাছে ধরা দিতে পারে আপনার স্বপ্নের চাকরি। তাই নিজেকে এবং নিজের জীবন বৃত্তান্ত যথোপযুক্তভাবে গড়ে তুলুন যাতে যে কোনো প্রতিষ্ঠান অনায়াসে আপনাকে নিয়োগ দেয়। যদি আপনি না জানেন কীভাবে সিভি লিখে এবং কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় তবে এখন থেকেই তা শিখতে চেষ্টা করুন।

৩. কাজকে গ্রহণ করুন
আপনার বর্তমান কাজ সাদরে গ্রহণ করতে শিখুন। আগে নিশ্চিত হোন যে, আপনি আপনার কাজকে গ্রহণ করেছেন নাকি বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছেন। যদি শেষেরটি হয় তবে আপনার সময় এবং মেধা দুটোরই অপচয় হবে।
যখন আপনি একটি নতুন চাকরি শুরু করবেন, তখন আপনার কাজ, কাজের মূল্যায়ন এবং এ কাজের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আপনার সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ভেতরের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন হতেও পারে।

৪. নমনীয়তা
উগ্রতা সর্বদাই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কোনো কাজই জোরপূর্বক করে নেয়া যায় না। আর জোরপূর্বক করে নেয়া হলেও পরবর্তীতে তার কুফল ভোগ করতেই হয়। তাই উগ্রতা নয়, নমনীয়তায় জীবন গড়াটাই যৌক্তিক।

৫. সহিষ্ণুতা
প্রবাদ আছে, ভালো জিনিস একটু দেরিতেই আসে। কোনো কাজেই তাড়াহুড়া করাটা ভালো না। ত্বরিত যে কোনো কাজের মধ্যে ভুল হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

৬. সময় সচেতনতা
প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারলে যে কোনো ব্যক্তিই তার ক্যারিয়ারকে সফল স্থানে নিয়ে যেতে পারবে। অযথা সময় অপচয়কারী প্রয়োজনীয় সময় এসে হাঁপিয়ে ওঠে। ফলে সে তার কাজে ভুল করে। পরে করব বলে ফেলে রাখলে কোনো কাজেরই সফল সমাধান দেয়া সম্ভব নয়। তাই সময় সচেতন হয়ে উঠুন।
১ তামান্না তানভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন