কর্পোরেট ডেস্ক : বিশ্বে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ। যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে বিশ্বে জ্বালানি তেলের মজুদ বেড়েছে ২৮ লাখ ব্যারেল। আগের সপ্তাহে পণ্যটির মজুদ বেড়েছিল ২৩ লাখ ব্যারেল। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে বিশ্বে গ্যাসোলিনের মজুদ বেড়েছে ৬৮ লাখ ব্যারেল। যদিও সংস্থাটির বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছিল, ওই সপ্তাহে গ্যাসোলিনের মজুদ ৪ লাখ ৯৮ হাজার ব্যারেল পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর আগের সপ্তাহে বিশ্বে পণ্যটির মজুদ বেড়েছিল ৬০ লাখ ব্যারেল। ইংল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক গ্যাস ও তেল কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রল জ্বালানির বাজার সম্পর্কে এক পূর্বাভাসে বলেছে, তেল ও কয়লার বিপরীতে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদার বিপরীতে ২০৩৫ সাল নাগাদ গ্যাসের ব্যবহার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পরিবেশ সচেতনতার কারণে বিশ্বে তেল ও কয়লার বিকল্প জ্বালানিগুলোর চাহিদা বাড়বে। এ সম্পর্কে ব্রিটিশ পেট্রলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বব ডাডলে বলেছেন, বৈশ্বিক জ্বালানির ক্ষেত্রটি পরিবর্তিত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী জ্বালানির জায়গাটি দখলে নিচ্ছে উদীয়মান জ্বালানি। প্রথাগত জ্বালানির বিপরীতে বাড়ছে মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পরিবেশ সচেতনতা মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের দিকে সবাইকে আগ্রহী করে তুলছে। এখন আমাদের জ্বালানি শিল্পটিকে দ্রæত এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’ শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের বার্ষিক পরিসংখ্যান বুলেটিন ২০১৬ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ শেষে ওপেকভুক্ত দেশগুলোয় ১ লাখ ২১ হাজার ৩৪০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ আছে, যা পণ্যটির মোট বৈশ্বিক মজুদের ৮১ শতাংশ। এছাড়া ওপেকবহির্ভূত দেশগুলোয় জ্বালানি তেল মজুদ আছে ২৭ হাজার ৯২০ কোটি ব্যারেল, যা পণ্যটির বৈশ্বিক মজুদের ১৯ শতাংশ। ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি তেলের মজুদ সবচেয়ে বেশি আছে ভেনিজুয়েলায়। দেশটিতে মোট ৩০ হাজার ৮৮ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ আছে, যা ওপেকভুক্ত দেশগুলোয় পণ্যটির মজুদের ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ভেনিজুয়েলার পরই সৌদি আরবের অবস্থান। দেশটিতে ২৬ হাজার ৬৪৬ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ আছে, যা ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মোট মজুদের ২২ শতাংশ। একইভাবে ইরানে ১৫ হাজার ৮৪০ কোটি ব্যারেল বা ১৩ দশমিক ১ শতাংশ, ইরাকে ১৪ হাজার ২৫০ কোটি ব্যারেল বা ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, কুয়েতে ১০ হাজার ১৫০ কোটি ব্যারেল বা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯ হাজার ৭৮০ কোটি ব্যারেল বা ৮ দশমিক ১ শতাংশ, লিবিয়ায় ৪ হাজার ৮৩৬ কোটি ব্যারেল বা ৪ শতাংশ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুদ আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন