গোলাম মোস্তফা রুমী : এফবিসিসিআই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ভোটের আমেজ। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তারা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছেন, কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার প্রত্যাশায় দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন কেউ কেউ। জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সংগঠনের সাবেক প্রথম সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও বর্তমান প্রথম সহসভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দুজন প্রার্থীর সমর্থকরাই এখন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন এবং ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। দুজনেই আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিত। এই দুই প্রার্থী নির্বাচনে সমর্থন পেতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা ও গ্রিন সিগন্যালের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ২০১৭-১৯ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে ২৯ জানুয়ারির পরিচালনা পর্ষদের সভায় নির্বাচন ও আপীল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ড নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তায়ই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তিন সদস্যের নির্বাচনী বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে সংসদ সদস্য আলী আশরাফকে। নির্বাচনী বোর্ডের অন্য দুজন সদস্য হলেন-এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক শামসুল আলম ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরুল হক। নির্বাচনী আপীল বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে বিটিএমএ’র সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক পরিচালক খায়রুল আলম ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মীর্জা মনসুর। প্রসঙ্গত এফবিসিসিআই দেশের ৮১টি চেম্বার ও ৩৮২টি পণ্যভিত্তিক এ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সংগঠন। সংগঠনের মোট ৫২টি পরিচালক পদের মধ্যে ৩২টি পদে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে পারেন। বাকি ২০টি পরিচালক পদ হয় মনোনীত। পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি ও দু’জন সহসভাপতি নির্বাচিত করেন।
এদিকে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য চলতি কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন