কর্পোরেট রিপোর্টার : দেশে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে ইউরিয়া সারের। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ইউরিয়া সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিসিআইসির বিভিন্ন গুদামে ৮ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। একই সাথে জি-টু-জি পদ্ধতিতে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সার আমদানি অব্যাহত রয়েছে। মংলা বন্দরে একটি জাহাজ থেকে আমদানিকৃত সাড়ে ২৭ হাজার টন ইউরিয়া সার খালাসের কাজ চলছে। এছাড়া, আরো ৪২ হাজার টন সার নিয়ে দু’টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে বিসিআইসির সার কারখানাগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টন সার উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সিইউএফএল এবং আশুগঞ্জ কারখানা উৎপাদনে গেলে দৈনিক আরো ৩ হাজার টন ইউরিয়া যোগ হবে। জুন, ২০১৬ থেকে জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭০ টন ইউরিয়া সার চাষি পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে বলে বিসিআইসি জানিয়েছে। এদিকে দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (সিইউএফএল)। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কারখানায় অ্যামোনিয়া এবং ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ইউরিয়া রিঅ্যাক্টরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ইটালিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে দু’দফা মেরামত শেষে এটি চালু করা হচ্ছে। মেরামতকালে এতে সম্পূর্ণ নতুন কুলিং টাওয়ার প্রতিস্থাপন এবং ইউরিয়া রিঅ্যাক্টর রিলাইনিং করা হয়েছে। কারখানাটিতে দৈনিক দেড় হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। এছাড়া, গত বছর অক্টোবর মাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সার কারখানাও আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎপাদন শুরু করবে। এ কারখানা থেকেও প্রতিদিন দেড় হাজার টন ইউরিয়া সার পাওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন