কর্পোরেট ডেস্ক : রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত বিনিয়োগ ও উৎপাদন সহায়ক মুদ্রানীতি রপ্তানিতে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করবে বলে মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এ মত দেয়। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি নিয়ে সম্প্রতি ইএবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এতে বলা হয়, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে জ্বালানি তেলের মূল্য পার্শ্ববর্তী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো সমন্বয় করা প্রয়োজন। ইএবির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বিনিয়োগ ও উৎপাদন সহায়ক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতসহ অভ্যন্তরীণ ঋণের ঊর্ধ্বসীমা গত বছরের তুলনায় ০.০১ কমিয়ে ১৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে, যা রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করবে। তবে তা আরো কমানো হলে রপ্তানিতে গতির সঞ্চার হতো বলে মনে করে ইএবি। ইএবি বলছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তা যুুক্তিযুক্ত ও সময়োপযোগী। তবে এর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, বর্তমান রপ্তানির অবস্থা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনাপূর্বক, রপ্তানি সহায়ক আরো সংযত মুদ্রানীতি, যার ফলে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগী দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ইউরোর অবমূল্যায়ন ও দরপতন, ব্রেক্সিট এবং গ্লোবালাইজেশনের সমস্যা ও পাউন্ডের অবমূল্যায়ন, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার কারণে ‘রপ্তানি সহায়ক একটি মুদ্রানীতি’ রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন