রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পিছু হটলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার দুপুর থেকে রাতভর ভিসিসহ ২৫ শিক্ষককে ভিসির কার্যলয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একাডেমিক কমিটির দীর্ঘ বৈঠক শেষে দেড়টার দিকে পরীক্ষার ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিল ঘোষণার সিদ্ধান্তের কথা জানান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ইকবাল মতিন।
জানা যায়, রুয়েটে ১৩ সিরিজের ব্যাচ বা ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট প্রাপ্তি বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ এই দুই শিক্ষাবর্ষের মোট ১৬০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে পারেনি। ফলে গত সপ্তাহের শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নামে ঐ দুই সিরিজের শিক্ষার্থীরা।
তবে অন্দোলনকে অযৌক্তিক অখ্যায়িত করে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে গত মঙ্গলবার আন্দোলনরত দুই সিরিজের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা এবং হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে মেসে অবস্থান নিয়ে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান করে এবং ক্যাম্পাসে মিছিল করে। এসময় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সিরিঞ্জের মাধ্যমে নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে নিজেদের দাবির কথা লেখে। দুপুর ২টার দিক থেকে শুরু করে রাতভর ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকে। দুপুর দেড়টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ইকবাল মতিন শিক্ষার্থীদের সামনে ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানালেও লিখিত চেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে প্রশাসনের সাথে কথা বলতে ভিসির কার্যালয়ে ঢুকেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন