শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিদ্যালয়ের ক্লাস বসছে গাছতলায়

প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:৩৫ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

জিএম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : চরম অবহেলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ১০০ নং কাদাকাটি হিন্দুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নামে ১০০ নং ঠিক তদ্রুপ অবহেলায়ও শতভাগ ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা চরম অবহেলায় স্কুলে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। গ্রামবাসী অজপাড়াগাঁয়ে অবহেলিত হিন্দুপাড়ার মধ্যে ১৯৪৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকার মানুষের সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় ৫০টি বছর বিদ্যালয়টি চলে এসেছে। কুঁড়েঘর আর গাছের ছায়ায় সেই থেকে ক্লাস চলে আসছিল। অবশেষে ১৯৯৪ সালে সরকারিভাবে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ এলাকার মানুষের মনে হাসি ফুটে উঠে। ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০১২ সালে এসে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ নিজস্ব অর্থে ২০১৪ সালে একটি ৩ কক্ষবিশিষ্ট টিনের ঘর নির্মাণ করেন। সেখানেই চলছে ক্লাস। বর্তমানে সরকারিভাবে এক লক্ষ টাকা সহায়তা নিয়ে আরেকটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। তা দিয়ে কাজ কতটুকু শেষ হবে ভাবনা হয়ে উঠেছে। ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়ে গত দুই বছর গাছের ছায়ায় ও মাঠে ক্লাসে বসছে। কিন্তু একটি পক্ষ ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ভীম চন্দ্র ম-ল জানান, স্কুলের ৫০ শতক জমির মধ্যে ৪৭ শতক তাদের দখলে ছিল। ৫/৭ মাস আগে স্থানীয় আলহাজ আ. ওয়াদুদের পুত্র নজরুল ইসলাম ৩/৪ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে নেন। তখন তারা গোলযোগে না গিয়ে ৩/৪ শতক বাদ রেখে সীমানা নির্ধারণ করে কাজ করতে শুরু করেন। তার পিতা আলহাজ আ. ওয়াদুদ সাহেব নিজে এবং তার দুই পুত্র ই¯্রাফুল বাবু ও বাবলু উপস্থিত থেকে সীমানা ঠিক করে ঘরের নিশানা করে নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল হক, প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক রজব আলি, মেম্বার হরেকৃষ্ণ ম-লসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পুরনো টিনশেড ঘর ভেঙে সেখানে কাজ করা হচ্ছে। স্কুলের কোনো গাছ কাটা বা বিক্রয় করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, কাজ পুরোদমে এগিয়ে চললেও তারা (নজরুল ইসলাম দিং) নানা অপপ্রচার ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। ইউপি মেম্বার হরেকৃষ্ণ বলেন, আমরা আলহাজ অদুদ সাহেবকে ডাকিয়ে আনি তিনি উপস্থিত থেকে সীমানা চিহ্নিত করেন এবং জমি কমবেশি থাকলেও দাবি ছেড়ে দিয়ে নিজেই কাজ উদ্বোধন করেন। এদিন তার পুত্র ই¯্রাফুলও কাজ করেছিলেন। তারা বিদ্যালয়টির উন্নয়ন কাজে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nannu chowhan ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৭:৪০ এএম says : 0
The country will have never progress by neglecting the educational institute & facility.
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন