পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় হাইটেক এগ্রো প্রডাক্ট লিমিটেডের আলু বীজ রোপণ করে অসংখ্য কৃষকের সর্বনাশ হওয়ার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরকে এ ঘটনার তদন্ত করে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে গত শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা খন্দকার মিজানুর রহমান পাকুন্দিয়া উপজেলায় আসেন। সেখান থেকে তিনি পাকুন্দিয়া সদর বাজারে হাইটেক আলু বীজ বিক্রেতা (ডিলার) মো. এরফান উদ্দিন মাস্টারকে সঙ্গে নিয়ে সদরের ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলো ঘুরে দেখেন এবং কৃষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। পরে তিনি তারাকান্দি বাজারের হাইটেক আলু বীজ বিক্রেতা (ডিলার) মো. শামছুল আলমকে এবং ওই এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহাগ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আলু জমিগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপস্থিত হলে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে অবগত হন। পরে উপস্থিত কৃষকদের সান্ত¦না দেন এবং তারা যাতে ক্ষতি পূরণ পান সে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হাইটেক আলু বীজে কৃষক ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ সংক্রান্ত বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং ডিলার ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, বীজের ত্রæটির কারণেই আলুর চারা গজায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ডিলার ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে হাইটেক কোম্পানির কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেতে পারে সে ব্যাপারে তিনি সব রকম চেষ্টা করবেন এবং খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান। উল্লেখ্য, গত শনিবার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ৯-এর পাতায় হাইটেকের আলু বীজে পাকুন্দিয়ার কৃষকের সর্বনাশ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন