চলতি বছরে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মতো আলু রফতানি শুরু করেছে প্রাণ। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৫২ টনের প্রথম চালানটি মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। প্রাণ চুক্তিভিত্তিক কৃষকেদের কাছ থেকে গ্রানুলা, ডায়মন্ট ও অ্যাসটেরিক্স জাতের মানসম্পন্ন আলু সংগ্রহ করে। বর্তমানে দিনাজপুর, রংপুর, জয়পুরহাট, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও-এ প্রাণের প্রায় ২০০০ আলুচাষি রয়েছে। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার চুক্তিভিত্তিক আলুচাষি আব্দুল মজিদ বলেন, দুই বছর ধরে তিনি প্রাণের কাছে আলু সরবরাহ করছেন। গত বছর তিনি তিন একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। চুক্তিভিত্তিক চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার চার একর জমিতে চাষ করেছেন বলেও তিনি জানান। উন্নতমানের আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে কোম্পানিটি কৃষকদেরকে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের বীজ ও সার সরবরাহ করে। কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ায় উন্নতমানের আলু উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়ায় চুক্তিভিত্তিক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানান প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন। প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের বিপণন পরিচালক কামরুজাজামান কামাল বলেন, গত বছর আমরা সীমিত আকারে আলু রফতানি শুরু করি। আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়ায় এই বছর আমাদের ব্যাপক পরিমাণে আলু রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়া ছাড়াও এই বছরে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, জাপান ও শ্রীলংকায় আলু রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। স বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন