দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ভেজাল মিশ্রিত দুধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ভেজাল মিশ্রিত দুধগুলো প্রকাশ্যে অবাধে হাটে-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই দুধ কিনে তা খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে গত ১৩ ফেব্রæয়ারি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব ভেজাল মিশ্রিত দুধ বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষি নির্ভরশীল এই দুপচাঁচিয়া উপজেলার ২টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে প্রায় সকল কৃষকই কৃষিকাজের সুবিধার্থে এবং নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদেই গরু-ছাগল পালন করে থাকে। উপজেলার কৃষকরা অনেক আগেই তাদের জমিতে রবিশস্য আলু সরিষা লাগিয়ে অনেকে তাও ঘরে তুলেছে। অনেক জমি পরিত্যক্ত ফাঁকা থাকায় এসব মাঠেই এলাকার কৃষকরা তাদের গরু-বাছুরকে অবলীলায় ঘাস খাওয়াচ্ছে। এসব গাভীর দুধ কৃষকরা বাজারে বিক্রি করছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি দুধ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গাভীর লালন-পালনের গো-খাদ্য ভ‚ষি, খৈল, খুদের দাম বাজারে তুলনামূলক বেশি। সেই হারে দুধ বিক্রি করে গো-খাদ্যের দাম উঠছে না। তাই এক শ্রেণীর দুধ বিক্রেতা দুধে পানি মিশিয়ে, আবার অনেকে দুধে পানির সাথে সাদা টিস্যু মিশিয়ে, কেউ আবার পাউডার দুধ এসব বাজারে অবাধে বিক্রি করছে। উপজেলা সদরের সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকার দুধের বাজারে এমন দৃশ্য প্রতিনিয়ত কারো না কারো চোখেও পড়ছে। এ নিয়ে দুধ বিক্রেতার সাথে ক্রেতাদের বাক-বিতÐাও হচ্ছে। এসব ভেজাল মিশ্রিত দুধ বিক্রয় বাজার পরিদর্শনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে সরকারি একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে এসব ভেজাল মিশ্রিত দুধ বিক্রেতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নীরব থাকতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে গত ১৩ ফেব্রæয়ারি সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিতে আনা হয়। সভায় এসব ভেজাল মিশ্রিত দুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন