রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

মা, শ্বশুর, শাশুড়িসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

এ যেন ইয়াবা পরিবার!

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : এ যেন মাদক ব্যবসায়ী পরিবার। মা আনোয়ারা বেগম (৪৫), শ্বশুর হাসান আলী (৬০), শাশুড়ি রোকেয়া বেগমকে (৫০) নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করেন মো. আবদুর রহিম। গতকাল (শুক্রবার) নগরীর বায়েজিদ থানা চক্রোসো-কানন আবাসিক এলাকার সামনের সড়ক থেকে ওই ৪জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের বাসিন্দা হাসান আলী ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম সীমান্ত থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে। এরপর এসব ইয়াবা তাদের জামাতা আবদুর রহিম ও তার মা আনোয়ারা বেগম নগরীতে বিক্রি করে। ওসি জানান, মূলত শ্বশুর-শাশুড়ি টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে জামাতা ও বেয়াইনের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রহিমা বেগমকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। ইয়াবা ব্যবসার কারণে এর আগে আরও চারবার গ্রেফতার হয় সে। তার কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা ও ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।
থানার ওসি জানান, রহিমা বেগমের পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত এক বছরে চারবার গ্রেফতার করে জেলে যায় রহিমা। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে এসে ফিরে যায় মাদক ব্যবসায়। রহিমা বেগম বায়েজিদের রউফাবাদ এলাকার স্টার শিপ গলির সেলিম ওরফে খোকনের স্ত্রী। ওই গলিতে সেলিমের একটি ফার্নিচারের দোকান আছে। তবে দোকানটি সবসময় বন্ধ থাকে। ওই দোকানের পেছনে সেলিম ও রহিমা মিলে গাঁজা-ইয়াবা বিক্রির আসর বসায় বলে জানান বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোকানে অভিযান চালানোর জন্য পুলিশ গেলে সেলিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে রহিমা গাঁজা ও ইয়াবাসহ ধরা পড়ে যায় বলে ওসি জানান। রহিমার দুই ননদ হাসিনা এবং খালেদা। হাসিনা মাদকের মামলায় দুই বছরের দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে আছে। হাসিনার দুই মেয়ে শিল্পী ও নাজমা এখন মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। খালেদা ও তার স্বামী ফরিদ এবং দুই ছেলে রাসেল ও মানিকও একই এলাকায় মাদক বিক্রি করে। এই পরিবারে কর্মচারির মতো ১০-১২ বছরের বেশ কয়েকজন শিশু আছে। তাদের মাধ্যমে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করা হয়। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলেও শিশু হিসেবে তারা বিশেষ আইনগত সুবিধা পায়। কিন্তু যারা মাদক বিক্রির মূলহোতা তারা অনেক সময় আড়ালে থেকে যান বলে জানান ওসি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আরও একজনকে আটক করা হয়। নগরীর অক্সিজেন মোড়ের নূতনপাড়া এলাকার মূল সড়কের সামনে থেকে আব্দুস শুক্কুর নামে ওই মাদক বিক্রেতাকে আটক করে পুলিশ। শুক্কুরের বাড়ি কক্সবাজার সদর এলাকায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন