শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ভাসানীকে ছাড়া ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস অসম্পূর্ণ : ভাষাসৈনিক গোলাম সারওয়ার

যুব ন্যাপের আলোচনা

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রবীণ রাজনীতিক ও ভাষা সৈনিক গোলাম সারওয়ার খান বলেছেন, ‘৫২-র ভাষা আন্দোলনে মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রথম কাতারে। ভাষা আন্দোলনে করণীয় নির্ধারণে ৫২-র ৩১ জানুয়ারী ঢাকা বার লাইব্রেরীতে সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সাধারণ সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। যার আহ্বান ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী।
গতকাল (শনিবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। যুব ন্যাপের যুগ্ম সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, ছাত্র কেন্দ্রের যুগ্ম সমন্বয়কারী সোহেল রানা, যুব ন্যাপ নেতা আবদুল হালিম, মোবারক হোসেন, মিয়া হোসেন, সাহিদা আক্তার প্রমুখ।
গোলাম সারোয়ার খান বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভাষা আন্দোলনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৪৮ সাল থেকে বিকশিত ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে মওলানা ভাসানীর ছিল বলিষ্ঠ ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বিতর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে কেবল বিবৃতিতে বা জনসভার ভাষণে নয়, পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ‘ব্যবস্থাপক সভায়’ও তিনি বাংলা ব্যবহারের দাবিতে সোচ্চার থেকেছেন। যেমন প্রাদেশিক ১৯৪৮ সালেরু ১৭ মার্চ ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে মওলানা ভাসানী ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টের ভেতরে তিনি অবশ্য আর কথা বলার বা দাবি জানানোর সুযোগ পাননি। কারণ, স্বল্প সময়ের মধ্যে মুসলিম লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে ব্যবস্থাপক সভায় তার সদস্যপদ বাতিল করেছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন