শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

চরভদ্রাসনে রাসিন এনজিওর ছোঁয়ায় চরবাসীর মান বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থা ‘রাসিন’ গত এক বছর ধরে বিভিনড়ব উনড়বয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। ‘রেজিলিয়েন্স থ্রো ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ক্লাইমেট এডাপটেশন লিডারশিপ অ্যান্ড লার্নিং (রি-কল)’ প্রকল্পের আওতায় এনজিওটি ওই ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায় পরিবারগুলোর মান উনড়বয়নে কাজ করে চলেছে। এনজিওটির ছোঁয়ায় চরবাসীর জীবনমান অনেকখানি এগিয়ে গেছে বলে রোববার উপজেলার রাসিন মনিটরিং কমিটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, রাসিনের ছোঁয়ায় উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের পথেপড়া ১৯০টি পরিবার আলোর মুখ দেখেছে। এনজিওটি ইউনিয়নের নিঃস্ব পরিবারের গৃহকর্ত্রীকে বিভিনড়ব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে। পরে প্রশিক্ষিত পরিবারগুলোর মধ্যে রাসিন বিনামূল্যে উনড়বত জাতের গাভীর শাবক প্রদান করেছে। একই সাথে তিনমাস অন্তর গাভীতে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যμম ও গোখাদ্য সরবরাহর জন্য চরের বিস্তীর্ণ অনাবাদী জমিতে উনড়বত জাতের ঘাস চাষ করে পশুখাদ্য ঘাটতি পূরণ করে চলেছে। ওই চরের এক হাজার ৬০০ পশুকে তিনমাস অন্তর ভ্যাকসিন প্রদান কার্যμম অব্যাহত রেখেছে। ওই চরের ১২টি গ্রামে ক্যাম্পের মাধ্যমে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলো হচ্ছে চরশালেপুর পশ্চিম-২, ছমির বেপারী ডাঙ্গি, আমিনখার ডাঙ্গি, হাজারবিঘা, চরশালেপুর পূর্ব-১, চরশালেপুর পূর্ব-২, শালেপুর পূর্ব-১, শালেপুর পূর্ব-২, ইকরাম মাতুব্বর ডাঙ্গি, পশ্চিম, শালেপুর, মধ্য শালেপু ও চর শালেপুর পশ্চিম। এ ছাড়া এনজিওটি চরের ৭২টি নিঃস্ব কৃষি পরিবারের গরুর খোয়াড় পাকাকরণ করে ক্ষোরা রোগ থেকে পশুগুলোকে সুস্থ্য রেখেছে। ওই চরের ৩০টি নিঃস্ব পরিবারের গৃহকর্ত্রী রাসিনের কাছ থেকে ব্যবসায়ী প্রশিক্ষণ নিয়ে চা-পানের দোকান করে স্বাবলম্বী হয়েছে বলেও জানা যায়। রোববার এক স্বাবলম্বী আয়েশা বেগম (৫০) জানায়, ‘আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ার পর মাত্র ৫০০ টাকা পুঁজি নিয়ে রাসিনের সহায়তায় চা-পানের দোকান দিয়ে এখন ব্যবসায় লাখ টাকার মালামাল হয়েছে’। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন খান বলেন, ‘রাসিন চরবাসীর ভাগ্য উনড়বয়নে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’। এনজিওটির উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী লাভলু বলেন, চরাঞ্চলে বেশির ভাগ কৃষিপরিবার আর রাসিন দুস্থ পরিবারগুলোকে কৃষিতে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে’। রাসিন এনজিওর উপজেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সামির কুমার দাস বলেন, ‘চরবাসীর ভাগ্য উনড়বয়নে আমাদের কোনো কার্পণ্যতা নেই, সকলের সহায়তা পেলে দুস্থ পরিবারগুলো নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন