স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন, কে জামায়াত করে, কে বিএনপি করে, আর কে আওয়ামী লীগ করে, সেটা আমরা দেখছি না। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির যাই হোক, অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগে কোনো বাধা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘ট্রেনিং অন ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম সার্ক পার্সপেক্টিভ’ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। শহীদুল হক বলেন, যারা দুষ্কৃতকারী, খারাপ রিপোর্ট আছে, অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, এমনকি যাদের বিরুদ্ধে পুলিশি মামলা রয়েছে, তারা কোনো সরকারি চাকরিতে আসতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেটাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমরা চাকরি প্রার্থীদের ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে পরি। তিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবিরের সাথে জড়িত থাকা রাজনৈতিক ব্যাপার। আর জামায়াত-শিবির তো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন নয়। যদি তারা অপরাধমূলক কর্মকা- করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে বাদ যাবে। সরকারি চাকরিতে প্রার্থীর প্রবেশের সময় তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ, নিজ এলাকায় কোনো অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না ভেরিফিকেশনের সময় এসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে পুলিশ সতর্ক থাকবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, এ নির্বাচনে যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে তৎপর থাকবে পুলিশ।
আইজিপি বলেন, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সন্ত্রাস দুটি ভিন্নমাত্রিক বিষয়। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানবপাচারের সঙ্গে সংঘবদ্ধ অপরাধ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তবে সন্ত্রাসবাদ বহুমাত্রিক আঞ্চলিক অপরাধ দিয়ে প্রভাবিত।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে সুসংহত ও প্রসারিত করতে হবে। কেননা, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলের সৌহার্দ্য, সামাজিক সম্প্রীতি ও আঞ্চলিক বন্ধুত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা যা আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ দমনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে অপরাধীরা গোটা বিশ্বকে তাদের চারণভূমি হিসাবে বিবেচনা করে, যে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র ভৌগোলিক সীমারেখাকে অতিক্রম করে সক্রিয় থাকে। বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের অবস্থান প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক জানান, তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সার্কভুক্ত দেশসমূহের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমন্ত্রণ জানানোর পরও পাকিস্তান কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি Ñ এ কথা উল্লেখ করে তিনি অপরাধ দমনে তাদের অসহযোগিতা আঞ্চলিক অপরাধ দমনের ক্ষেত্রকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে জানান।
‘ট্রেনিং অন ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম সার্ক পার্সপেক্টিভ’ প্রোগ্রামে সার্ক দেশ ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার দুজন করে ছয়জন ও বাংলাদেশ থেকে ১১ জনসহ মোট ১৭ পুলিশ কর্মকর্তা অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন