বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃ নির্ধারণ বিবেচনাধীন -সংসদে নসরুল হামিদ

প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় এদেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বিপিসির লাভ শুরু হয়। ঘাটতি পূরণের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৫ হাজার ২৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং চলতি ২০১৫-১৬ বছরের (জানুয়ারী) পর্যন্ত এই ৭ মাসে ৫ হাজার ৮১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা অর্থাৎ মোট ১১ হাজার ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জ্বালানী তেল বিক্রয় হতে সাশ্রয় হয়েছে। তন্মধ্যে ৭ হাজার ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বিভিন্ন দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোবাংলাকে ৪৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এখনো সরকার প্রদত্ত ঋণ ২৬ হাজার ৩৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা দেনা অবশিষ্ট রয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৫৭টি অনুসন্ধান কুপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে ৪৩টি উন্নয়ন কুপ খনন এবং ২০টি কুপের ওয়ার্কওভার করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ সকল কুপ হতে আনুমানিক দৈনিক ১ হাজার ৭৮ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ১ হাজার ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রমের জন্য সাম্প্র্রতিক সময়ে বাপেক্সকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে কারিগরিভাবে অধিকতর শক্তিশালী করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী বলেন, নতুন গ্যাস স্ট্রাকচার চিহ্নিতকরণের জন্য বাপেক্স কর্তৃপক্ষ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২-ডি সাইসমিক সার্ভে কার্যক্রম, বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ পুনঃমূল্যায়নের জন্য ৩-ডি সাইসমিক সার্ভে কার্যক্রম এবং তেল/গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে অনুসন্ধান কুপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেনও মন্ত্রী জানান।
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদার পরিমান দৈনিক ৩২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের অধিক। দেশে এ যাবৎ আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাস ফিল্ডে উল্লেখযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। তন্মধ্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে, ফলে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট নীট গ্যাস মজুদের পরিমাণ মাত্র ১৩ দশমিক ৬৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে দায়িত্ব গ্রহণের সময় গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে দৈনিক ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে প্রতি বছর গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩২০০ মিলিয়ন ঘনফুটেরও বেশী। সে হিসেবে সরবরাহের তুলনায় ঘাটতির পরিমাণ দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন