শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

হুমায়ূন আহমেদের জীবনী নিয়েই ডুব তৈরি হয়েছে -শাওন

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিনোদন ডেস্ক : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ডুব-এর গল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি দাবি করেছেন, ডুব-এর গল্পে হুমায়ূন আহমেদের জীবনী নিয়ে করা হয়েছে। অন্যদিকে ফারুকী অস্বীকার করেছেন সিনেমাটিতে হুমায়ূন আহমেদের জীবনী তুলে ধরা হয়নি। তবে শাওনের আপত্তিতে সিনেমাটির অনাপত্তিপত্র স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শাওন হুমায়ূন আহমেদের ধানমন্ডিস্থ দখিনা হওয়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তাতে তার বক্তব্য ও যুক্তি তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। দর্শকদের মধ্যে অনেক হুমায়ূন ভক্ত আছেন। নতুন প্রজন্মের এমন অনেক দর্শক আছেন যারা হুমায়ূন আহমেদ মাত্র পড়া শুরু করেছেন। তারা ছবিটি দেখে ভুল তথ্য পাবেন হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে। এবং এই বিভ্রান্তিকর তথ্যে ভরা কাহিনীচিত্র পরবর্তীতে তার জীবনী হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপিত হবে। তিনি বলেন, গত বছরের শেষ দিকে ভারতের একটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ‘আনন্দবাজার’-এর কাছ থেকে প্রথম ডুব ছবিটির পটভূমি সম্পর্কে জানতে পারি। আমাকে জানানো হয়, ছবিটি হুমায়ূন আহমেদের জীবনকে ঘিরে। এবং হুমায়ূন পরিবারের কিছু সদস্যর চরিত্রও ছবিটিতে উঠে এসেছে। যার মধ্যে আমিও আছি। খবরটি আমাকে বিস্মিত করে। তারপরই বাংলাদেশে এবং ভারতের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলোতে রিপোর্ট থেকে জানতে পারি যে, আলোচ্য ছবিটি কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু স্পর্শকাতর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ছবির মূল চরিত্রের অভিনয় শিল্পী ইরফান খান শুটিংয়ের আগে হুমায়ূন আহমেদের প্রচুর ভিডিও দেখেছিলেন। সেগুলো দেখেই হুমায়ূন আহমেদের কথাবার্তা বলার ধরন নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছিলেন। ছবির আরেক অভিনয় শিল্পী পার্নো মিত্র তার ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন যে, তার অভিনীত চরিত্রের নাম ‘মেহের আফরোজ শাওন’। যদিও কিছুক্ষণ পর তা সম্পাদনা করে বাদ দেন। সঙ্গতকারণেই আমি আশঙ্কা বোধ করি। কেননা ছবিটির পরিচালক তার কোন মন্তব্যেই ছবিটির সাথে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের সম্পৃৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি। আমার আশঙ্কা প্রবল হয় যখন ‘ডুব’ ছবির অভিনয় শিল্পী রোকেয়া প্রাচী তার সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন যে, ‘ডুব’ হুমায়ূন আহমেদেরই জীবন কাহিনী। তার সাক্ষাৎকার থেকে কাহিনীর যে সারসংক্ষেপ জানা যায়, তা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু বিতর্কিত অংশ যার সত্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ বাংলা কথাসাহিথ্যের তথা বাংলাদেশের কিংবদন্তি লেখক। তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার মানে কি এই যে তাকে নিয়ে মনগড়া কাহিনীচিত্র বানিয়ে ফেলা যাবে। হুমায়ূন আহমেদ নাম বদলে চরিত্রের অন্য যে নামই দেয়া হোক, সেই চরিত্র যদি হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখকের, যিনি চলচ্চিত্র নির্মাণও করেন, সংসার জীবনে যার দুটি অধ্যায় রয়েছে এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েই যার জীবনাবসান হয়েছে, সেটি বুঝতে কোনও দর্শকের গবেষণা করার প্রয়োজন পড়ে না। তার জীবনের অনেক গল্পই পাঠক দর্শকের জানা। সেই সত্য গল্পের কিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এবং তাকে নিয়ে ট্যাবলয়েড পত্রিকার কিছু চটকদার গুজব জুড়ে দিয়ে যদি কোন ছবি বানানো হয় সেটা কি নৈতিক?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন