বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আইএস নির্মূলের পরিকল্পনা চ‚ড়ান্ত হচ্ছে পেন্টাগনে

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক শক্তিশালী জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) উৎখাতে একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন। আগামীকাল সোমবার পরিকল্পনাটির খসড়া সংস্করণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’র চেয়ারম্যান মেরিন জেনারেল জোশেফ ডানফোর্ড প্রক্রিয়াধীন এই পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘আইএসকে পরাজিত করতে ইরাক ও সিরিয়া ছাড়াও বিশ্বব্যাপী যেসব জঙ্গি দেশ সংঘাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও এর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বাগদাদভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড জানান, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাহিনীগুলো আইএসের দুটি শক্তিকেন্দ্র, ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার রাকা পুনর্দখল করতে পারবে। ইতোমধ্যেই ইরাকে আইএসের অধিকৃত শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর ও শক্ত ঘঁাঁটি মসুলের পূর্বাংশ পুনরুদ্ধার করেছে যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত ইরাকি বাহিনী। পশ্চিম অংশ পুনরুদ্ধারেও অভিযান শুরু করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এক সম্মেলনে ডানফোর্ড আল-কায়েদার মতো অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করে খসড়া পরিকল্পনাটি সম্পর্কে বলেন, এরা শুধু সিরিয়া ও ইরাক নিয়ে নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি। তার কথা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, প্রাথমিকভাবে এই খসড়া পরিকল্পনাটির উদ্দেশ্য যতটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও এটি অনেক বিস্তৃত। ডানফোর্ড আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৪৫ হাজার বিদেশি যোদ্ধা সংগ্রহ করেছে আইএস। তিনি বলেন, সফল হওয়াই আমাদের পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। এর জন্য প্রথমত দরকার, আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। এই সংযোগ এখন বিশ্বব্যাপী হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে করা ওই পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেয়া পরামর্শও গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন এবং অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে একটি বিস্তৃত আইএসবিরোধী পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এতে ফেব্রæয়ারি মাস শেষ হওয়ার আগেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। ডানফোর্ড জানান, এই পরিকল্পনা আইএসের অর্থ সংগ্রহের উপায় এবং যে ধর্মীয় ব্যাখ্যা এই জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে একটি নিজস্ব ধারার খিলাফত ঘোষণার অনুমোদন দিয়েছে, তার সমাধানের উপায় খুঁজবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর আইএসবিরোধী লড়াইয়ের এক নিষ্পত্তিমূলক মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের এই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাবেক ওবামা প্রশাসনের সেনা সংখ্যা সীমিত রাখার মতো অনেক নীতির বাধা শিথিল হতে পারে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৪৫ হাজার বিদেশি যোদ্ধা সংগ্রহ করেছে আইএস। তিনি বলেন, সফল হওয়াই আমাদের পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। এর জন্য প্রথমত দরকার, আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোর সংযোগ টিস্যুগুলো বিচ্ছিন্ন করা, এই সংযোগ এখন বিশ্বব্যাপী হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে করা ওই পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেয়া পরামর্শও গ্রহণ করা হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর আইএসবিরোধী লড়াইয়ের এক নিষ্পত্তিমূলক মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের এই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাবেক ওবামা প্রশাসনের সেনা সংখ্যা সীমিত রাখার মতো অনেক নীতির বাঁধন শিথিল হতে পারে। ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বাগদাদ-ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের-সমর্থিত বাহিনীগুলো আইএসের দুটি শক্তিকেন্দ্র, ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার রাক্কা পুনর্দখল করতে পারবে। ইতোমধ্যেই ইরাকে আইএসের অধিকৃত শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর ও শক্ত ঘাঁটি মসুলের পূর্বাংশ পুনরুদ্ধার করেছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইরাকি বাহিনী। পশ্চিম অংশ পুনরুদ্ধারেও অভিযান শুরু করেছে তারা, এখানে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন