কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা পাড়ের মানুষ প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। প্রকৃতির রুদ্র রোষে প্রতিনিয়ত স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ পতন ঘটে। আধুনিক জীবন ও নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে এরা বঞ্চিত। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়ন রাক্ষুসে যমুনার করাল-গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনসংখ্যা ২ লাখের উপরে। বন্যা, খরা, নদীভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অভাব অনটন চরাঞ্চলবাসীর নিত্যদিনের সাথী। প্রতি বছর নদী ভাঙনে ভিটামাটি জমিজমা সবকিছু হারিয়ে অন্য চরে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। নতুন চর জেগে উঠলে দলবদ্ধভাবে ঘর বেঁধে নতুন জীবন শুরু করে। এক চর ভেঙে গেলে আবার অন্য চরে গিয়ে ঘর বাঁধে। আর্থিক দীনতার কারণে যাযাবরের মতো জীবন কাটে এদের। চরাঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দারাও এখন যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে শংকিত। বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি এবং শুকনো মৌসুমে বালির আস্তরণে ঢাকা থাকায় চরাঞ্চলে ফসলের আবাদ ভালো হয় না। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। কাঁচা রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য। পাকা রাস্তাও খানাখন্দকে ভরা। চরাঞ্চলের প্রধান বাহন নৌকা। একজন মুমূর্ষু রোগীকেও নৌকায় বহন করে নিতে হয়। এসব এলাকায় আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। শিক্ষা ক্ষেত্রে এরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তৎপরতা চোখে পড়ে না। এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। আধুনিক জীবনের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষ প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে নিত্যদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন