বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

১৬টি দেশের অংশগ্রহণে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা শুরু

যুক্তরাষ্ট্র টিপিপি থেকে নাম প্রত্যাহারের পর এশীয় দেশগুলোর নতুন উদ্যোগ

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী বহুল বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনাধীন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে এবার চীনের নেতৃত্বে মুক্ত বাণিজ্যের নতুন জোট হতে যাচ্ছে এশিয়ায়। ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর এশীয় অঞ্চলে যে বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা দেখা দেয় সেই ঘাটতি মোকাবেলায় সঙ্গত কারণেই এগিয়ে এসেছে দ্রæত উদীয়মান অর্থনীতির দেশ চীন। জাপান ও ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশগুলোও এই উদ্যোগের সাথে রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদী মানসিকতার বিপরীতে এশিয়ায় নিজেদের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য বিস্তারের অনুক‚ল আবহ তৈরি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই উদ্যোগের ফলশ্রæতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হলে তার সুফল ভোগ করতে পারবে এশিয়ার সামগ্রিক জনগণ। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র টিপিপি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় বিশ্বের সর্বত্র এবং তার ধারাবাহিকতায় মুক্ত বাণিজ্যের ধারা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জাপানে শুরু হলো এশীয় নেতাদের নতুন উদ্যোগ। যুক্তরাষ্ট্র ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) থেকে নাম প্রত্যাহারের পর প্রথমবারের মতো এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য বিষয়ে বৈঠক করছেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৬টি দেশের আলোচকরা। গত সোমবার শুরু হওয়া এ বৈঠক পৃথক একটি আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণের আশাবাদ জাগিয়ে তুলেছে। রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) বৈঠকটি পাঁচ দিনব্যাপী জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় কোবে শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জাপানের অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের (এমইটিআই) একজন কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় সংশ্লিষ্ট ১৬টি দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। আরসিইপি আয়োজনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে চীন। চীন ছাড়াও ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করে। তবে এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে শামিল করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই দেশের স্বার্থে টিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়িত করলেও বেকায়দায় ফেলে দেয় দেশটির এশীয় মিত্রদের। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এড়াতে অঞ্চলটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা হচ্ছিল টিপিপিকে। উল্লেখ্য, চীন টিপিপির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। আরসিইপি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ নিয়ে ১৭ দফা আলোচনা করেছেন ১৬টি দেশের সদস্যরা। চলমান আলোচনা পণ্য, সেবা, বিনিয়োগ, মেধাস্বত্ব, প্রতিযোগিতা ও ইলেকট্রনিক্স বাণিজ্য-বিষয়ক ইস্যুগুলো এগিয়ে নেবে বলে মনে করছেন এমইটিআই কর্মকর্তা। তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে যখন সংরক্ষণবাদী মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তখন আরসিইপির মতো মানসম্মত চুক্তির বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এএফপি, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন