শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে মোবাইল ফোনের গ্রাহক বৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০০ কোটি অতিক্রম করে যাবে এ বছরের মধ্যভাগেই। মোবাইল ফোনের গ্রাহক বৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল নাগাদ মোবাইল ফোনের নতুন গ্রাহক যে দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি বাড়বে তার মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন জিএসএমএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে টেলিকম খাতে বিনিয়োগ বৈশ্বিক জিডিপির ৪.৪ শতাংশ বা ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সাল নাগাদ জিডিপিতে এ খাতের অংশগ্রহণ বেড়ে হবে ৪.৯ শতাংশ বা ৪.২ ট্রিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া মোবাইল ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে গত বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয় ২৮.৫ মিলিয়ন মানুষের। এ সংখ্যা ২০২০ সাল নাগাদ বেড়ে হবে ৩০.৯ মিলিয়ন। এ খাত থেকে ২০২০ সাল নাগাদ দেশগুলো কর বাবদ পাবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। তবে এতে তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামের রাজস্ব বাদ দেওয়া হয়েছে, যার পরিমাণ ২০১৬ সালে ছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার। ‘মোবাইল ইকোনমি’ ২০১৭ নামে জিএসএমএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মোবাইল ফোনে নতুন যেসব গ্রাহক বাড়ছে তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আসবে এশিয়া অঞ্চল থেকে। আগামী চার বছরে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক বাড়বে ভারতে ৩১০ মিলিয়ন, চীনে ১৫৮ মিলিয়ন, নাইজেরিয়ায় ২৭ মিলিয়ন, ইন্দোনেশিয়ায় ২৩ মিলিয়ন, মেক্সিকোয় ২১ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রে ২১ মিলিয়ন, ব্রাজিলে ১৮ মিলিয়ন, পাকিস্তানে ১৭ মিলিয়ন এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বাড়বে ১১ মিলিয়ন করে। এ দেশগুলোই মোবাইল গ্রাহক বৃদ্ধিতে বিশ্বের শীর্ষদশ প্রবৃদ্ধিশীল দেশ। জিএসএমএ-এর মতে, ভারত ইতিমধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল ফোন বাজার। তবে চীনের নেতৃত্বে এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও জোরালো প্রবৃদ্ধি ঘটছে। এ দেশগুলোতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, হ্যান্ডসেটের দাম হ্রাস এবং ভালো নেটওয়ার্ক থাকায় মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০১৬ সালের হিসাবে এশিয়ায় স্মার্টফোন সংযোগের সংখ্যা ৩.৮ বিলিয়ন। যা বিশ্বের স্মার্টফোন সংযোগের অর্ধেক। ২০২০ সালের মধ্যে এ অঞ্চলে স্মার্টফোনের নতুন সংযোগ বাড়বে ১.৯ বিলিয়ন। জিএসএমএ ডিরেক্টর জেনারেল ম্যাটস গ্র্যানরিড বলেন, মোবাইল ফোন হচ্ছে একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম, যা বর্তমানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণের কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখছে, সংযোগ সুবিধা দিচ্ছে, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির সুবিধা দিচ্ছে এবং মানুষের আর্থসামাজিক সমস্যার সমাধান করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন