কর্পোরেট রিপোর্ট : পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। গত তিনদিন আটকে থাকা শত শত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর ছেড়ে গেছে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে তিনদিনে ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে বন্দর থেকে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস নিলেও বন্দর এলাকা ছেড়ে যেতে পারেনি এসব পণ্যবাহী ট্রাক। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় ৮০০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়েছে বন্দর থেকে। তিনদিনের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহূত কাঁচামাল আমদানিকারকরা। শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসাসহ অন্য খাতগুলোয় লোকসানের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার উপরে বলে জানা গেছে। বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সুত্রে জানা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে বেশকিছু ট্রাক বেনাপোল বন্দর থেকে মালামাল খালাস করে আশপাশের এলাকায় আটকে ছিল। তিনদিন পণ্যভর্তি ট্রাকগুলো যেতে না পারায় আমাদের ৩০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে বুধবার দুপুরের পর এসব ট্রাক নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা হয়েছে বলে জানায় পোর্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বেনাপোলের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরাও। বেনাপোল কাঁচাবাজারের আড়তদার মুজিবর রহমান জানান, আলু, পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্যান্য পণ্য ঝিনাইদহ ও যশোর থেকে আনতে হয়। ধর্মঘটের কারণে তিনদিন কোনো পণ্য না আসায় আমরা বেচাকেনা করতে পারিনি। ফলে আড়তদারদের প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়িরা। ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলো থেকে বেনাপোলে ট্রাক না আসায় এখানে থাকা ট্রাকের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এতে আমদানিকারকসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি ধর্মঘটের কারণে বন্দরের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন