কর্পোরেট রিপোর্টার : আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোদমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পাওয়া যাবে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে এটি হচ্ছে। এর ফলে উদ্যোক্তারা একটিমাত্র আবেদনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা পাবেন। অনলাইনে এ আবেদন করা যাবে। থাকবে ম্যানুয়াল সিস্টেমও। বুধবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডা’র নির্বাহী সদস্য নভোশ চন্দ্র মÐল এবং আলতাফ হোসেন প্রমুখ। কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে যদি আমাদেরকে উচ্চ আয়ের দেশ হতে হয় তবে শুধু বস্ত্র খাতের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। উচ্চআয়ের শিল্প গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য বর্তমানে বিনিয়োগের যে পরিবেশ রয়েছে তারও অনেক উন্নতি দরকার। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। উদ্যোক্তা যেন একটিমাত্র আবেদনের মাধ্যমেই সবধরনের সেবা স্বল্পতম সময়ে পান সেজন্য ইতোমধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। তবে এর প্রকৃত সুফল পেতে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। বর্তমানে এ সংক্রান্ত আইনও চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে আইন পাসের আগেই আমরা প্রশাসনিকভাবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিনিয়োগের পরিবেশ বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে আমরা বিধি ও সাংগঠনিক কাঠামো ঠিক করেছি। সে অনুযায়ী কাজও চলছে। ব্যবসায়িক পরিবেশের ক্ষেত্রে উন্নত প্রথম সারির দশটি দেশের অভিজ্ঞতা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা উদ্যোক্তাদেরকে সেবা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আইনগত সংস্কারেরর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। এছাড়া বিদ্যুৎ প্রদান, বিল্ডিংয়ের অনুমোদন, পরিবেশ ছাড়পত্র এবং ভূমির রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন সেবা স্বল্পতম সময়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য স্বল্পতম সময় উল্লেখ করে দিয়েছে। আশা করছি, আমরা উদ্যোক্তাদেরকে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বমানের পরিবেশ দিতে পারব। কাজী আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তিতে সহায়তার পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামোর উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাছাড়া বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু দেশ ও কিছু খাতকে লক্ষ্য করে কাজ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন