মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ট্রাম্পের স্বাস্থ্যনীতির বিরোধিতায় যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলো

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত রিপাবলিকানদের স্বাস্থ্যনীতির বিরোধিতা করেছে। ৫০০টি হাসপাতাল ও চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আমেরিকান হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। কংগ্রেসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা বলেছেন, কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের কাছে পর্যাপ্ত হিসাব না থাকায় বিলের কার্যকারিতা অনুমান করতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র্রের হাসপাতাল মালিকদের সংগঠন আমেরিকান হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) আশঙ্কা করছে, এই স্বাস্থ্যনীতির বিল পাস হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বীমা সুবিধা হারাবে। হতদরিদ্র মানুষদের জন্য বর্তমান বিলের বিধানগুলো তাদেরকে দ্বিধায় ফেলবে। নতুন স্বাস্থ্যনীতির খসড়া প্রকাশের পর এ নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে বিবদমান পক্ষগুলো। ডেমোক্র্যাটরা এ বিলের নিন্দা জানায় এবং রিপাবলিকানদের একটি অংশের মধ্যেও এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। তবে প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে বিলটি পাসের জন্য আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায় করতে বুধবার বৈঠক করেন ট্রাম্প। আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্যনীতি বাতিল করে তার স্থানে আমেরিকান হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট নতুন বিলটি আনা হয়েছে। এই বিল পাস হলে বামাকেয়ার নামে পরিচিত স্বাস্থ্যনীতি বাতিল হয়ে যাবে। ট্রাম্পের স্বাস্থ্যনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছেÑ ভবিষ্যতে চিকিৎসা সহায়তায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমানো। এই সুবিধা পেত নি¤œ আয়ের মানুষ। সবাই বীমার আওতায় আসবে, এই বিধান বিলুপ্ত করা ও  ভর্তুকির স্থলে ট্যাক্স ক্রেডিট চালু করা। তাছাড়া ওবামার প্রণীত অ্যাফোর্ডঅ্যাবল কেয়ার অ্যাক্ট-এর অধীনে যত মানুষ বীমা সুবিধার আওতায় এসেছিল, নতুন বিলের সুফল তত মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। তবে ঠিক কতসংখ্যক মানুষ নতুন বিলের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার আওতায় আসবে, তাও সঠিকভাবে বলা এখনই সম্ভব নয়। ট্রাম্পের স্বাস্থ্যনীতির বিলটি এখন দুটি কংগ্রেশনাল কমিটি পর্যালোচনা করে দেখছে। এরপর এটি পাসের জন্য সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপন করা হবে। এদিকে, ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো যদি রিপাবলিকানদের বিলের বিরোধিতা করে, তাহলে অবশ্যই বিলটি সংশোধন করতে হবে। অপর এক খবরে বলা হয়, নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারের টেলিফোনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্দেশে গোয়েন্দারা আড়ি পেতেছিল বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন তা নাকচ করে দিয়েছে কংগ্রেসে রিপাবলিকান দলের সদস্যরা। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের নেতা মিথ ম্যাককনেল জানিয়েছেন, ট্রাম্প টাওয়ারের ফোনে ওবামার আড়ি পাতার নির্দেশের যে অভিযোগ ট্রাম্প করেছেন তিনি তার কোনো ভিত্তি খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, গত বছর নির্বাচনী প্রচারণা অথবা রাশিয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে আমাদের গোয়েন্দা কমিটি কাজ করছে এবং আমরা বিষয়টি তাদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নানসও ট্রাম্পের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। ট্রাম্পের অনেক মন্তব্য আক্ষরিক অর্থে না নেয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন, প্রেসিডেন্ট রাজনীতিতে নতুন। আমি মনে করি তিনি অনেক কিছুই বলেন যা আপনারা আক্ষরিক অর্থে ধরে ফেলেন। অনেক সময় তিনি কী করছেন তা দেখার জন্য তার সঙ্গে আইনজীবী থাকে না। প্রেসিডেন্টকে তার টুইটার বার্তার জন্য সমালোচনা করা উচিৎ নয় বলে আমি মনে করি। প্রসঙ্গত, শনিবার ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্প টাওয়ারের ফোনে আড়ি পাততে এফবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এফবিআই অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন