শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

আইএসবিরোধী যুদ্ধ করতে কুয়েত যাচ্ছে এক হাজার মার্কিন সেনা

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুয়েতে সংরক্ষিত বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ওবামা প্রশাসন থেকে ভিন্ন
ইনকিলাব ডেস্ক : জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে কুয়েতে ১ হাজার সেনা মোতায়েন করার বিষয়ে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তায় আইএসের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তা আরো বেগবান করতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন করে সেনা পাঠানোর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন কমান্ডাররা আরো দ্রæত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন। কুয়েতে সংরক্ষিত বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তটি পূর্ববর্তী ওবামা প্রশাসন থেকে ভিন্ন। ওবামা প্রশাসন অল্পসংখ্যক সেনা সদস্যের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণের নীতি অবলম্বন করে আসছিল। তবে এটা পরিষ্কার নয় যে, ওই সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন ম্যাটিসের সমর্থন রয়েছে কিনা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুয়েত থেকে ওই সেনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সিরিয়া ও ইরাকে পাঠানো হবে। সিরিয়া ও ইরাকে আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় ছয় হাজার সেনা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। তবে কুয়েতে পাঠানো সেনাদের কাজ কি হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। ওই কর্মকর্তারা আরো জানান, সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা মার্কিনসমর্থিত আরব ও কুর্দি বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যে জঙ্গি সংগঠনটির কথিত রাজধানী রাক্কার বিভিন্ন সংযোগ পথ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তবে আইএস-কে সেখান থেকে উচ্ছেদ করতে আরো শক্তিশালী পদক্ষেপ দরকার বলে তারা মনে করেন। ইরাকের মসুল থেকেও আইএসকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এর মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে তিনি জানান, কুয়েতে এখন যেসব সেনা মোতায়েন রয়েছে, তাদের চেয়ে নতুন মোতায়েন করা সেনাদের পরিস্থিতি হবে আলাদা। তবে কমান্ডারদের কাজের গতি বাড়াতে আরো সেনা মোতায়েন করতে চান তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের বিবেচনা থাকা এই উদ্যোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস। স্মরণযোগ্য, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আইএসবিরোধী যুদ্ধে তিনি ছোটখাটো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী। কম সেনা ও হেলিকপ্টারের মতো হালকা যুদ্ধযান ব্যবহার করার পক্ষে ছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্প হয়তো এ ক্ষেত্রে বড় উদ্যোগ নিতে পারেন। কারণ, নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, আইএস নির্মূল একদিনের ব্যাপার। আইএসবিরোধী যুদ্ধে নতুন করে স্থলসেনা মোতায়েনে ওবামা রাজি না থাকলেও ট্রাম্প হয়তো এককাঠি সরেশ হয়ে উঠতে পারেন। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Imam Foisal Mohammad Mohshin ১০ মার্চ, ২০১৭, ১:১৪ পিএম says : 0
কি চমৎকার, I.S ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি, দমন ও তারা করবে,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন