শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

পঞ্চগড়ে সোনালী ব্যাংকের আরো শাখা চালুর দাবি

প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। সীমান্তঘেঁষা পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত চতুর্দেশীয় সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ বন্দরে চালু হয়েছে ইমিগ্রেশন সুবিধা। বাংলাবান্ধায় পণ্য আনা-নেওয়াসহ মানুষ যাতায়াত করছে। এ জেলায় এখন চা শিল্পের বিকাশসহ সবজি ও  ফসলের আবাদে বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে। এখন আর বাইরে থেকে শাক-সবজি আনতে হয় না, বরং প্রতিদিন পঞ্চগড় থেকেই সবজির বড় বড় চালান যায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। খবর নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলায় চা কোম্পানি রয়েছে ৯টি। এদের সর্বনি¤œ জমি রয়েছে ৫০ একর। ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ এলাকা  রয়েছে ১৫টি। এখানে ৫-১৫ একর করে জমিতে চা চাষ হয়, যা থেেেক প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা আসে। শুধু চা উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২০ লাখ কেজি। পাতা হিসেবে উৎপাদন হয় এর সোয়া চারগুন।
পঞ্চগড়ের অর্থনীতিতে বড় পরির্বতন আসলেও পঞ্চগড় জেলা শহরে সেই মান্দাতা আমলে প্রতিষ্ঠিত একটি সোনালী বাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছে। ১৯৮৪ সালে পঞ্চগড় জেলায় উত্তীর্ন হয়ে প্রায় তিন যুগ পেরিয়ে গেলেও এই ব্যাংকটির কার্য পরিধির ক্ষেত্র প্রসার লাভ করেনি। সেই তিন যুগ আগের ব্যাংকটি দিয়েই সকল সেবা পরিচালিত হচ্ছে। অথচ গ্রাহক সেবা, বানিজ্যের দীর্ঘ প্রসারতায়, পঞ্চগড় শহরে অগ্রণী, পূবালী, রূপালী, জনতা সহ সবশেষে ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রতিষ্ঠালাভ করে। তারপরেও এই সোনালী ব্যাংকের আরো একটি শাখার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিলেও সরকারের উচ্চমহলে এ বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। অন্যদিকে ভগ্নদশা এ ব্যাংকটি স্থানান্তরের বিষয়টি এখনো কার্যকরি হয়নি। কাজের চাপের ফলে এ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন প্রায় সময় শুক্রবার শনিবার ও ব্যাংকে এসে র্কাযাদি সম্পন্ন করেন। ফলে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। এতে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখাটিতে সেবার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। জানা গেছে, প্রতিমাসে এ ব্যাংকটি হতে বয়স্ক ভাতা দেয়া হয়, দুই হাজার, বিধাব ভাতা সাড়ে ছয়শত, প্রতিবন্ধী ভাতা ছয়শত, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছয়শত এবং ৮১টি বে-সরকারী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও পেনশন ভোগীদের বেতন প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সরকারী স্কুল-কলেজ রয়েছে হাজারের উপরে। এদিকে জেলার অসংখ্য, সরকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক খাতের লেনদেন হয়ে থাকে শহরের একমাত্র এই সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে।
এছাড়াও কর্র্র্তৃপক্ষের নির্দেশনায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে কৃষি ঋন বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড় সুগার মিলস লিমিটেডের সকল আর্র্থিক লেনদেন হয় এই ব্যাংকেই। তাছাড়া পঞ্চগড় জেলায় বেসরকারীভাবে গড়ে ওঠা কাজী এন্ড কাজী’র ১০/১১ টি মুরগীর ফার্মে রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী। উল্লেখ্য, দেশের অন্য জেলায় শহর-উপশহরে সোনালী বাংকের একের অধিক শাখা রয়েছে। কিন্তু পঞ্চগড়ে শুধু এর ব্যতিক্রম। তাই সরকারের নিকট এ জেলার সচেতন মহল পঞ্চগড় শহরে সোনালী ব্যাংকের আরো একটি শাখা প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানিয়েছে ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন