বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মাইন্যাস টু ফর্মুলার মন্ত্রীদের বিচার করুন -শাহ মোয়াজ্জেম

প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, মাইনাস টু ফর্মুলার সাথে ক্ষমতাসীনদের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা জড়িত ছিলেন। সেই দুই নেতা বর্তমানে মন্ত্রীদের কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না? আগে তাদের বিচার করুন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অল কমিউনিটি ফোরাম আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। ২০০৭ সালে ১/১১ পর ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিন সরকারের শাসনামলে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা চালায়। দেশের মানুষের কাছে যা মাইনাস টু ফর্মুলা নামে পরিচিতি পায়। সে সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মাইন্যাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠে।
আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক কাবিরুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘বিডিআর বিদ্রোহ ও সীমান্ত নিরাপত্তা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বতর্মানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সেই মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন অভিযোগ করে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সেই কারণেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলেও ক্ষমতাধর এই দুই নেতা তোফায়েল ও আমুকে মন্ত্রিত্ব দেয়নি। পরে অবশ্য ৫ জানুয়ারীর পাতানো নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে তাদের মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়। মাইনাস টু ফর্মুলা যারা সৃষ্টি করেছে তাদের বাদ দিয়ে কেনো সম্পাদকদের জড়িত করা হচ্ছে। মাইনাস টু ফর্মুলার সাথে ক্ষমতাসীনদের দুই শীর্ষ নেতাসহ অনেক নেতা জড়িত। সেই নেতাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না? সত্য কথা বলার কারণে যার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত সেই সাংবাদিক মাহফুজ আনামের প্রতি অসম্মান দেখানো হচ্ছে।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বিএনপি কেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাচ্ছে? জাতীয় নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের কি শিক্ষা হয়নি? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনানির্বাচন কমিশন কি, সেটা কি আমরা বুঝিনি?’ তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে না গিয়ে পরবর্তীতে এই অবৈধ সরকারকে মেনে নেয়া বিএনপির বড় একটা ব্যর্থতা। আবার সেই সরকারের অধীনেই সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি আরো একটি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশ শাসন করার পরিবর্তে দেশের জনগণের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। এই নির্যাতন ইয়াহিয়া খান ও আয়ুব খানের শাসনকেও হার মানিয়েছে। মূলত এ সরকার গোপালগঞ্জের পুলিশের জোরে টিকে আছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে তার বাবা-মায়ের নাম নেই। অথচ মামলা করার সাথে সাথে গোপালগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট তা গ্রহণ করেছে। এটা লজ্জার বিষয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন