বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল মহানগরীর কালুশাহ সড়কে নয় বছরের শিশু গৃহপরিচারিকা মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গৃহকর্তা প্রকৌশলী নুরুল আহাদ রাহাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে নুরুল আহাদ রাহাতকে স্থানীয় জনতা আটক করলে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
শনিবার সকালে নুরুল আহাদ রাহাত ও তার স্ত্রীকে আসামী করে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। নির্যাতনের শিকার শিশু মুক্তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। গৃহকর্তা নুরুল আমিন রাহাত নিজেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এবং একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বলে দাবি করেছেন। কোতোয়ালী থানার ওসি জানান, রাহাতের স্ত্রী নুসরত পিংকি পলাতক। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গৃহকর্তা রাহাতকে আদালত কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে।
শিশু মুক্তা পুলিশকে জানায়, তার বাড়ি ভোলা জেলায়। মাসখানেক আগে বাবা-মা তাকে নুরুল আমিন রাহাতের বাসায় কাজ করতে পাঠায়। ছোটখাটো ভুলের অজুহাত দেখিয়ে তাকে মারধর করত রাহাত ও তার স্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহাত ও তার স্ত্রী পিংকি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মুক্তাকে রক্তাক্ত করে। মুক্তা নির্যাতন সইতে না পেরে বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন