শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

বাজেট প্রণয়নে কর্মসংস্থানকে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্টার : শ্রমঘন শিল্প ও সেবা খাতকে প্রণোদনা দিয়ে শক্তিশালী করা এবং কর বিন্যাসে এসব খাতকে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা আগামী বাজেট প্রণয়নে কর্মসংস্থানকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস মিলনায়তনে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ (সিডিইআর) আয়োজিত উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে বাজেটের জন্য নির্বাচিত বিষয় সম্পর্কিত এক আলোচনা সভায় এসব বলেন। অপ্রাতিষ্ঠানিক সেবা ও শিল্প খাতকেও বাজেট সহায়তার আওতায় আনতে কৌশল নির্ধারণেরও পরামর্শ দেন তারা। সভায় পৃথক তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডিইআরের সিনিয়র ফেলো এটি এম নুরুল আমিন, নির্বাহী পরিচালক রুশিদান ইসলাম ও সিনিয়র ভিসিটিং ফেলো রেজওয়ানুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন সিডিইআর নির্বাহী পরিচালক রুশিদান আই রহমান। সেমিনারে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থানমুখী খাতকে কতটা প্রণোদনা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। বিশেষ করে কর পুনর্বিন্যাস করে কীভাবে শিল্প খাতকে সুরক্ষা, প্রণোদনা ও দক্ষ করে তোলা যায় সে বিষয়টি সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন। রাজস্ব ব্যয়েও কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, অবকাঠামো খাতের ব্যয় কর্মসংস্থানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেন, কর্মসংস্থানে শ্রমঘন শিল্প হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পকে (এসএমই) এগিয়ে নিতে হবে। এসএমইর জন্য বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশ সহায়ক নয়। এ পরিবেশে ভালো বিনিয়োগ আশা করা যায় না। তিনি বলেন, শ্রমঘন শিল্প হিসেবে এতদিন তৈরি পোশাককে বিবেচনা করা হতো। এখন অন্যান্য শিল্পকেও ভাবা হচ্ছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, তৈরি পোশাকের রফতানি ধারাবাহিক হারে কমছে। এ প্রবণতা চলতে থাকলে আগামীতে কর্মসংস্থান আরও কমবে। এ নিয়ে ভাবতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন