রাজশাহী ব্যুরো : লাল-সবুজের ট্রেন এবার যাবে রাজশাহী-খুলনা রুটে। প্রতিদিন সকালে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে যাওয়া-আসা করবে। যদিও কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আগে থেকেই চালু আছে পুরনো বগি নিয়ে। এবার নাম ঠিক থাকলেও এর বগিতে আসছে পরিবর্তন। ভারত থেকে আনা লাল সবুজ রংয়ের বারোটি বগি দিয়ে যাত্রা শুরু হবে। বাদ যাবে আগের বগিগুলো। যেমন এর আগে হয়েছে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সিল্কসিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস আর ধূমকেতুর। রাজশাহী-খুলনা রুটে পুরনো কোচের বদলে নতুন কোচের দাবি ছিল যাত্রীদের অনেক দিনের। গাদাগাদি করে চলতে হতো। যাত্রীর তুলনায় আসন সংখ্যা কম ছিল। পশ্চিম রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের লাল সবুজ বগি এসিতে আসন থাকবে ৭৮টি। এসি বাথে স্লিপার থাকবে ২৪টি আসন। নন এসি ১০টি বগি থাকবে। প্রত্যেকটিতে আসন সংখ্যা একশো পাঁচ। নতুন এ বগিগুলো উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্টেশনের অদূরে দাঁড়িয়ে আছে। আগামী ১৯ মার্চ রেলমন্ত্রী মজিবুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজশাহী রেলস্টেশন ও সংলগ্ন পশ্চিম রেলের সদর দপ্তরে চলছে ধোয়া মোছার কাজ। স্টেশনকে ধুয়েমুছে ঝকঝকে করে তোলা হচ্ছে। রং লেগেছে ভবনের গায়ে ও বিভিন্ন স্থাপনায়। পার্কিং জোনের ফুল বাগানকে সাজানো হচ্ছে। রেলমন্ত্রী আসবেন বলে কথা। নতুন বগির সাথে মিল রেখে সবকিছুতে নতুনত্ব আনার চেষ্টার কমতি নেই কর্তৃপক্ষের। অনেকদিন পর রং পড়ছে স্টেশন ভবনে। রেলকর্মীদের পাশাপাশি এসব কাজের তদারকি করতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের। অভিযোগ রয়েছে এসব কাজের জন্য কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। প্রাক্কলিত ব্যয় কত হবে তা কেউ বলতে পারেননি। মন্ত্রী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের নতুন কোচের উদ্বোধন ছাড়াও রেলওয়ে শ্রমিক লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। সব মিলিয়ে স্টেশন পাড়ায় চলছে সাজ সাজ রব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন