শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

বাজেটে ব্যক্তি ও কোম্পানির করহার আরো যৌক্তিক হওয়া উচিত

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট ডেস্ক : অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মনে করেন ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন হারে ভ্যাট রাখা যেতে পারে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব দেশে ভ্যাট আদায় করা হয়ে থাকে, সেখানে ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। দরিদ্র দেশ হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন হারে ভ্যাট হতেই পারে। প্রসঙ্গত সব ধরনের পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হার রেখে আগামী জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) ও সম্পূরক শুল্ক আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে। তবে এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে অর্থনীতিবিদ এমনকি এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তাদের একটি অংশও একমত নন। এর সঙ্গে মত দিলেন ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদও। কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য ও বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, সবার জন্য ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ব্যবস্থা চালু করা কঠিন। এখনো দেশে সেই অবস্থা তৈরি হয়নি। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বাজেট প্রণয়নের আগে এর অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ অন্যান্য প্রভাব বিবেচনায় নেয়ার উপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, অতীতের বাজেটে যে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তার কী প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে সেসব বিষয় আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এর ভিত্তিতে বাজেটের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। এ সময় ব্যক্তি ও কোম্পানির করহার আরো যৌক্তিক হওয়া উচিত বলে মত দেন বক্তারা। ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা। এটি অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকা করা উচিত। তিনি বলেন, যারা কর ফাঁকি দিতে চায়, তারা করমুক্ত আয়ের সীমা অনুযায়ী ওই পরিমাণ আয়ই কর ফাইলে প্রদর্শন করে। এতে ভুক্তভোগী হয় নির্দিষ্ট আয়ের চাকরিজীবীরা। তাদের ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এ করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হলে তাতে বাস্তবে রাজস্বে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। সাংবাদিকদের জন্য বাজেট বিষয়ে রিপোর্ট তৈরির উপর আয়োজিত ওই কর্মশালার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও পিপিআরসি। পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অর্থনীতিবিদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন