শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

খুলনায় ৭১ শতাংশ নির্যাতিত নারী থানা বা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ করেন না

নগরীর তিনটি বস্তিতে জরিপ

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : মহানগরীর ৭১ শতাংশ নির্যাতিত নারী ও শিশু সংশ্লিষ্ট থানা বা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ করতে যান না। লজ্জা, সামাজিক সম্মান নষ্ট, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, বিবাহ-বিচ্ছেদের আশঙ্কা, সময়ক্ষেপণ এবং বিচারব্যবস্থায় বিলম্বের কারণে নির্যাতিতরা অভিযোগ করছেন না। এমনকি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে না গিয়ে প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নির্যাতনের মধ্যে রয়েছেÑ শারিরিকভাবে আঘাত, যৌন হয়রানি ও আগুনে দগ্ধ।
পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) নগরীর ময়লাপোতা, সোনাডাঙ্গা ও নতুন বাজার চর বস্তিতে জরিপ শেষে বুধবার সকাল ১০টায় স্কুল হেলথ্ ক্লিনিকে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করে। ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত বস্তিতে এক শ’ জন নির্যাতিতের উপর তারা জরিপ প্রতিবেদন দাখিল করেন। নির্যাতিতদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ বলেছেন, অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। তবে নীতিমালা না থাকায় ভিকটিম সাপোর্ট কেন্দ্রে জিডি করার সুযোগ নেই। ভিকটিম সাপোর্ট কেন্দ্রে পাঁচদিন নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। চিকিৎসা সুবিধার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে হয়। এ সভায় উল্লেখ্য করা হয়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৩৯১ জন নারী যৌন হয়রানি, দুই হাজার ৪৩৩ জন শারিরিক নির্যাতন ও এক হাজার ৯ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হন।
সভায় সভাপত্বি করেন কেসিসির প্যানেল মেয়র রুমা খাতুন। প্রধান অতিথি ছিলেন কেএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভিকটিম সাপোর্ট) সোনালী সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এস এম শফিকুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন পিএসটিসির প্রকল্প পরিচালক ডেইজি আক্তার, ক্যাম্পেইন অফিসার দিলীপ বৈরাগী, নারী নেত্রী রসু আক্তার, পুলিশের এএসআই তহমিনা পারভীন প্রমুখ।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন