কর্পোরেট ডেস্ক : বিশ্ববাজারে কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী বস্ত্রশিল্পের অন্যতম কাঁচামাল তুলার দাম। এতে, বিপাকে পড়েছেন তুলার শীর্ষ আমদানিকারক বাংলাদেশের সুতাকল মালিকরা। এ অবস্থায় আগামীতে আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে তুলার উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলছেন তুলা আমদানিকারকদের সংগঠন- বিসিএ’র নেতারা। তবে, এখনই তুলা চাষ বাড়ানোর দরকার নেই বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। দেশে বস্ত্রশিল্পের চাহিদা মেটাতে উৎপাদনে রয়েছে প্রায় ৫শ’ সুতাকল। যেখানে প্রতিবছর দরকার হয় গড়ে ৫৫ লাখ বেল তুলা। বিসিএ’র তথ্য বলছে, ২০২১ সাল নাগাদ দেশে তুলার চাহিদা বেড়ে হবে ৭৬ লাখ বেল। বর্তমানে বিপুল চাহিদার মাত্র ১ শতাংশ তুলার যোগান আসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। ফলে বাধ্য হয়েই প্রায় শতভাগ আমদানি নির্ভর সুতা কলগুলো। সম্প্রতি চীনে তুলার মজুদ কমে গেছে, আর চাহিদা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই সঙ্গে ভারতের বাজার থেকে ৫শ› ও ১ হাজার রুপির নোট তুলে নেয়ায় গেল ডিসেম্বর থেকেই সেখানেও ঊর্ধ্বমুখী তুলার দাম। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের এই সঙ্কটের ধাক্কা এসে লেগেছে দেশের তুলার বাজারেও। তবে ব্যবসায়ীরা একে নিয়েছেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
তুলা আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে প্রতিবছর চাহিদা বাড়ছে প্রায় তিন লাখ বেল হারে। যেখানে দেশের উৎপাদন বাড়ছে মাত্র ১৫ হাজার বেল হারে। এ অবস্থায়, বস্ত্রশিল্পের স্বার্থে দেশে তুলার চাষ বাড়ানোর কথা বলছেন তারা। তবে, চাহিদা বাড়লেও বিশ্ববাজারে তুলার সঙ্কটের আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে, তুলা চাষে জমির পরিমাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের। আমদানিকারকরা বলছেন, চলতি বছরের মে মাস নাগাদ, অস্ট্রেলিয়ান তুলা বাজারে আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন